এবার ফের একবার পিকে-র নিশানায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। একদিন আগেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দাবি করেছিলেন, প্রশান্ত কিশোর জেডি (ইউ)-কে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে তাঁর কাছে আবেদন করেছিলেন। নীতীশের সেই দাবির পরের দিনেই পাল্টা মুখ খুললেন পিকে।
এদিন ঠিক কী বলেছেন পিকে? জেডি (ইউ) সুপ্রিমোকে বিঁধে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, ''নীতীশজি বিভ্রান্তিকর হয়ে উঠেছেন। রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। তিনি কিছু একটা বলতে চাইছেন, কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য একটি কথা বলে শেষ করছেন।'' বর্তমানে বিহার জুড়ে নিজের দলের সমর্থনে যাত্রা করছেন পিকে।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, ''বয়স নীতীশজির উপর প্রভাব ফেলছে। তিনি এক বলতে চাইছেন, কিন্তু অন্য কথা বলছেন। আমি যদি বিজেপির এজেন্ডায় কাজ করতাম তাহলে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার কথা বলব কেন? তিনি বিভ্রান্তিকর এবং রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। যাঁরা তাঁকে ঘিরে আছেন, তাঁদের তিনি বিশ্বাসই করতে পারেন না।''
এর আগে, প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন যে খোদ নীতীশ কুমারই ১০-১৫ দিন আগে নাকি তাঁকে বাড়িতে ডেকেছিলেন। পিকে-কে জেডি (ইউ)-এর নেতৃত্ব দিতেও নাকি বলেছিলেন নীতীশ। এপ্রসঙ্গে প্রশান্ত বলেন, ''আমি বলেছিলাম এটা সম্ভব নয়। কোনও পদের বিনিময়ে আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা থেকে ফিরে যেতে পারি না।''
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা I-PAC-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। ২০১৮ সালে নীতীশ কুমারের হাত ধরেই পিকে জেডি (ইউ)-তে যোগ দিয়েছিলেন। জেডি (ইউ) যোগের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পিকে-কে দলের জাতীয় সহ-সভাপতি করেছিলেন নীতীশ কুমার।
যদিও নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন এবং ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) নিয়ে নীতীশ কুমারের সঙ্গে পরবর্তী সময়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় পিকে-র। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নানা মন্তব্য করতে দেখা যায় প্রশান্ত কিশোরকে। শেষমেশ দল থেকে তাঁকে বহিষ্কারের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেন জেডি (ইউ) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার।
আরও পড়ুন- তির-ধনুক দ্বন্দ্বে তোলপাড় মহারাষ্ট্র, কমিশনের সিদ্ধান্তে বিপাকে উদ্ধব-শিণ্ডে শিবির
চলতি বছরের মে মাসে 'জন সুরজ' মঞ্চের ঘোষণা করেন পিকে। বর্তমানে বিহারে নিজের নতুন দল 'জন সুরজ'-এর প্রচারে রয়েছেন তিনি। আগামী কয়েক মাসে বিহারের প্রতিটি কোনায় পৌঁছে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছেন পিকে। বিহার জুড়ে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার যাত্রা করবেন প্রশান্ত কিশোর।