১৬ জন বিধায়কের দলত্যাগ আর তার জেরেই কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পতন হয় ২০১৯ সালে। ১৬ জন পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সেই সময়। তার পর আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। ভেঙে যায় কংগ্রেস-জেডিএস জোটও।
তারপর সরকার গড়ে বিজেপি। কয়েক দিন আগে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাও পদত্যাগ করেন। কিন্তু প্রাক্তন এক মন্ত্রীর স্বীকারোক্তির জেরে ফের অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। কাগওয়াড়ের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রীমন্ত পাতিল সেই সময় কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এতদিন পর তিনি মুখ খুলে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। তিনি বলেছেন, টাকার বিনিময়ে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে কর্ণাটকে।
আরও পড়ুন রেকর্ড ভোটে জেতা ভূপেন্দ্র প্যাটেল গুজরাতের আগামি মুখ্যমন্ত্রী! চিনুন এই পতিদার বিধায়ককে
শ্রীমন্ত বলেছেন, "ওঁরা (বিজেপি) জানতে চায়, কত টাকা চাই আমার। কিন্তু আমি টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলি, সরকার গঠনের পর আমাকে ভাল পদ দিলেই হবে। আমি বিজেপিতে টাকা ছাড়াই যোগ দিই। এখন ওঁরা আমাকে কথা দিয়েছে, মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হলে আমাকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন ‘ব্যর্থতা ঢাকতেই রুপানিকে বলির পাঁঠা করল বিজেপি’
শনিবার বেলাগাভির কাগওয়াড়ে পাতিল বলেন, কর্ণাটকে অপারেশন লোটাসের সময় এই প্রস্তাব তাঁকে দেওয়া হয়। সেইসময় এই রকম লোভে অনেকেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যান। তিনি উপনির্বাচনেও জেতেন। এরপর ইয়েদুরাপ্পা তাঁকে মন্ত্রীও করেন। কিন্তু দুবছর পর ইয়েদুরাপ্পা গদি ছাড়তেই নয়া মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাইয়া তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করেন। এতদিন যে বিজেপির উপর ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ ছিল, পাতিলের কথায় তাতে সিলমোহর পড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন