কলকাতায় পা রেখে সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে মমতাকে নাম না করে একজোট হওয়ার বার্তা দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা পি চিদাম্বরম। শনিবার বিধান ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে চিদাম্বরম বলেন, "সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে আমরা চেষ্টা করছি বিরোধী ঐক্য গড়তে। কয়েকটি দল আলাদা আলাদা লড়ছে। আশা করছি, একদিন সকলে জোটবদ্ধ হয়ে লড়বে।" একইসঙ্গে চিদাম্বরম এদিন বলেন, "কেউ আলাদা লড়েছে, আর কেউ একসঙ্গে লড়ছে এটা বড় কথা নয়, সকলে লড়াই করছি এটাই বড় কথা।"
আরও পড়ুন: ‘দিলীপ ঘোষকে খাঁচায় ভরে রাখা হবে’
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে নয়া দিল্লিতে বেশ কিছু বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা বনধে বাংলায় বাম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অশান্তির অভিযোগ তুলে ওই বৈঠক বয়কট করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদিও সিএএ-বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সোচ্চার মমতা। এদিকে, বাংলায় এই ইস্যুতে আলাদা করে লড়াইয়ে শামিল বাম-কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে চিদাম্বরমের এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষকে ঘিরে ধুন্ধুমার, উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম, ‘লাঠিচার্জ’ পুলিশের
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গে চিদাম্বরম। ছবি: পার্থ পাল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ঠিক কী বলেছেন পি চিদাম্বরম?
সোনিয়া গান্ধীর বৈঠকে মমতার অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে চিদাম্বরম বলেন, "সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে কেউ কেউ একা লড়াই করছে, আবার কেউ একসঙ্গে লড়াই করছে। বড় কথা হলো, আমরা সকলেই লড়াই করছি এই ইস্যুতে। বাংলায় বাম-কংগ্রেস একসঙ্গে লড়াই করছে। ২০টি দল সেদিনের বৈঠকে এসেছিল। কেউ কেউ আসেনি। আবার হয়তো বৈঠক ডাকা হবে। তখন হয়তো তারা আসবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমরা সকলে এই ইস্যুতে লড়াই করছি। দেশের স্বার্থে, সংবিধান বাঁচানোর স্বার্থে সব সিএএ বিরোধীদের একজোট হওয়া দরকার। আমরা চেষ্টা করছি বিরোধী ঐক্য গড়তে। আশা করছি, একদিন সকলে জোটবদ্ধ হবে।"
আরও পড়ুন: ‘রাহুল-সোনিয়ার জন্যই মোদীর বাড়বাড়ন্ত’, বেনজির আক্রমণ রামচন্দ্র গুহর
অন্যদিকে, সিএএ-এনপিআর ইস্যুতে বাংলাজুড়ে কংগ্রেস প্রচার চালাবে বলে এদিন জানান কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। এদিন চিদাম্বরম বলেন, "এনপিআরের মোড়কে এনআরসি আনতে চাইছে কেন্দ্র।" তিনি আরও বলেন, "এনপিআর ছদ্মবেশে এনআরসি ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাদের উদ্দেশ্য হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং এনপিআর-এর বিরুদ্ধে লড়াই করা, এবং এগুলির বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করা। আমরা এপ্রিল ২০২০ থেকে এনপিআর চালু করার সময়সীমা মানব না।"