/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/04/bjp-flag-759.jpg)
সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ত্রিলোচন মাহাতোর বাবা।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপর্বে অশান্তির ঘটনায় এবার দিল্লি গেল বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে, এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র দাখিল ঘিরে যেভাবে শাসকদলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বিরোধী দলের কর্মীরা, তার বিরুদ্ধে অভিযোগও জানান বিজেপির প্রতিনিধিরা। এদিন শুধু মুকুল রায়, বাবুল সুপ্রিয়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়রাই পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে দিল্লি দরবারে যাননি। মনোনয়নপর্বে হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিজন ও জখম বিজেপি কর্মীদেরকে সঙ্গে করে আঁটঘাট বেঁধেই রাজধানীতে গিয়েছে গেরুয়াশিবির। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে এদিন বিজেপির প্রতিনিধিরা উপরাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেন।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: রাজ্যের প্রস্তাব মতোই ১৪ মে একদফায় ভোট, গণনা ১৭ মে
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র পেশ করাকে ঘিরে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অতিরিক্ত দিনেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়ায়। সিউড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় একজনের। অন্যদিকে শাসকদলের সন্ত্রাসের জন্য বিরোধীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি বলে বারবার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বের এই প্রেক্ষাপট তুলে ধরতেই এদিন দিল্লি যান মুকুল রায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল সিনহারা।
আরও পড়ুন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বোঝাতে বাংলাদেশের ছবি! বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে বিতর্ক
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘গণতন্ত্রের হত্যাকারী’ বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তৃণমূল কর্মীদের সন্ত্রাসের জেরে দলের ৫ কর্মী নিহত হয়েছেন বলে এদিন দাবি করেন মুকুল রায়। তাঁর আরও অভিযোগ যে, মনোনয়নপর্বে অশান্তিতে তৃণমূল কর্মীদের রোষে পড়ে একশো কর্মী জখম হয়েছেন। রাজ্যে অশান্তির ছবি তুলে ধরতে কিছু ভিডিও ক্লিপও দেখান তাঁরা। রাজ্যের গণতান্ত্রিক কাঠামো বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুকে স্মারকলিপি দেন বিজেপি প্রতিনিধিরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন শাসকদলের কর্মীরা যেভাবে তাঁদের কর্মীদেরকে পঞ্চায়েত ভোটে গায়ের জোর দেখিয়ে বাধা দিচ্ছেন, তার কথা উল্লেখ রয়েছে স্মারকলিপিতে। মনোনয়নপত্র পেশ করতে গিয়ে যেভাবে দলের কর্মীরা শাসকদলের হামলার মুখে পড়েছে, সেকথাও উল্লেখ করা হয়েছে স্মারকলিপিতে।
আরও পড়ুন, ভাগাড়ের পচা মাংস বিক্রি: পুলিশি জালে আরও ৬, উদ্ধার ২০ টন মাংস
অন্যদিকে এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।