এরাজ্যে আগামী পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আলোচনা করতেই এদিন বৈঠকে ডাকল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ কমিশনের অফিসে রাজ্যের দলগুলির সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা। প্রতিটি দলের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কমিশন বৈঠকে বসবে বলে খবর। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে এতদিন প্রশ্ন তুলে আসছিলেন বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে আলোচনা না করেই কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করেছে। এমনই অভিযোগ তুলে এতদিন ক্ষোভপ্রকাশ করছিলেন বিরোধী শিবির। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছে সিপিএম এবং পিডিএস।
এদিকে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার জন্য বাহিনী চেয়ে ৫ রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিতে প্রার্থীর দুই ছেলেকে অপহরণ! অভিযুক্ত আরাবুল
বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রস্তাবকে কার্যত সিলমোহর দিয়েই আগামী ১৪ মে ভোটের দিন ঘোষণা করে কমিশন। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের প্রস্তাব মতো, একদফাতেই ভোট হবে বলে জানায় কমিশন। যে ঘোষণায় কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বে যেভাবে অশান্তি ছড়িয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই কেন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করল , তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম, পিডিএস।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: ফের আদালতে গেল সিপিএম ও পিডিএস
সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য শুক্রবার আই ই বাংলাকে বলেন, ‘‘যেখানে বুথের সংখ্যা ৫৪ হাজারেরও বেশি, সেখানে রাজ্যে পুলিশের সংখ্যা ৪৮ হাজার, এতে কী করে একদিনে ভোট সম্ভব!’’ তাঁর মতে, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বেই যেভাবে অশান্তি ছড়িয়েছে, তাতে ভোটপ্রক্রিয়া কতটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। বিকাশরঞ্জন বলেন, মনোনয়নপর্বের অশান্তিই রুখতে পারেনি পুলিশ, অসহায় অবস্থা সামনে এসেছে, সেখানে এই বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করা কার্যত অসম্ভব। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হবে নাকি অন্য রাজ্যের পুলিশ এনে ভোট করানো হবে, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই ভাবতে হবে বলে জানিয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ভোটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: রাজ্যের প্রস্তাব মতোই ১৪ মে একদফায় ভোট, গণনা ১৭ মে
আদালতের নির্দেশ না মেনেই একতরফা ভাবে কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করেছে বলে শুক্রবার আই ই বাংলাকে বলেন পিডিএস নেতা সমীর পুততুণ্ড। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও আলোচনা ছাড়াই ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছে বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন সমীর। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করেনি।’’