মনোনয়নপত্র জমা করতে যাওয়ার সময় ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল কোভিডবিধি লঙ্ঘন করেছেন। কোভিডের জন্য কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি মানা হয়নি। যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজেপি প্রার্থীর জবাব চেয়ে নোটিস পাঠাল কমিশন। প্রিয়াঙ্কার দাবি, তিনি কমিশনের জারি করা কোভিডবিধি ভাঙেননি। ফল্টে ওই সময়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে এবার বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে। গত সোমবার মনোনয়ন পেশ করেন তিনি। শুরুতেই ধুনুচি নাচ করেন প্রার্থী, পরে গোলবাড়ি মন্দির যান প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর সঙ্গে আসা বিজেপির নেতা, কর্মীরা। সেখান থেকেই থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় মাধ্যমে পৌঁছন আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে। মনোনয়ন পেশের সময় এই শোভাযাত্রা ও বিপুল লোকসমাগম নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্যের শাসক দল। কমিশনে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের বিরুদ্ধে কোভিডবিধি লঙ্ঘনের অভইযোগ জানায় জোড়া-ফুল শিবির।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীকে দেখেই উঠল ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি, অন্যায় দেখছে না তৃণমূল
এই অভিযোগ ও কমিশনের জবাবদিহি সম্পর্কে বুধবার ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, 'কমিশনের চিঠি পেয়েছি, জবাব দেব। তবে আমি কোনও নিয়ম আমি ভাঙিনি। শুভেন্দুদা আমার গাড়িতে ছিলেন। অর্জুন সিং, দিনেশ ত্রিবেদীরা অন্য গাড়িতে করে সোজা কমিশনের অফিসে পৌঁছেছিলেন। আমার গাড়িতে কোনও পতাকাও ছিল না। রাস্তায় ক’টা গাড়ি থাকবে, কারা আসবে যাবে, সেটা দেখার দায়িত্ব আমার নয়। কমিশনের অফিসের বাইরে যখন ভিড় জমেছিল, তখন পুলিশ কী করছিল?জমায়েতকারীদের কেন সরিয়ে দেওয়া হয়নি?'
পাশাপাশি, তৃণমূলকে নিশানা করেন বিজেপির এই 'লড়াকু' প্রার্থী। তাঁর দাবি, 'ওঁরা আমাকে ভয় পেয়েছে। তাই যেভাবে হোক আমার প্রচার আটকাতে চাইছে। কিছু করতে না পেরে এখন কমিশনে আমার বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছে।'
আরও পড়ুন- পারস্পরিক বিরোধ ভুলতে গেরুয়া ‘দাওয়াই’ ভবানীপুরের ভোট
যদিও বিজেপি প্রার্থীর যুক্তি মানতে নারাজ বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, 'প্রিয়াঙ্কা নিয়ম জানেন না। তাই এত কথা বলছেন। ওনার নিয়ম শিখতে শিখতে এই ভোট কেটে যাবে।'
শুরু থেকেই জমজমাট ভবানীপুরের উপনির্বাচন। যুযুধান তৃণমূল-বিজেপি এক অপরকে কড়া আক্রমণ শানাচ্ছেন। এরই মধ্যে বুধবার সকালে প্রচারের মাঝপথে বিজেপি প্রার্থীকে দেখে মমতার নাম ও 'জয় বাংলা' স্লোগান দেওয়া হয়। তৃণমূলই এই কাজ করছে বলে দাবি বিজেপির। যদিও স্লোগান দেওয়ার বিষয়টি যেকোনও মানুষের 'ব্যক্তিগত গণতান্ত্রিক অধিকার' বলে জানিয়েছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ দিন নিজের এলাকা চেতলায় ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যের হয়ে তিনি প্রচার চালান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন