রাজস্থানে কংগ্রেস হারতেই সুর চড়ালেন শচীন পাইলট। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে সামনে রেখেই রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে নেমেছিল কংগ্রেস। সেখানেই দলের ভরাডুবি হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে কার্যত দলের হাইকমান্ডকে কটাক্ষ করে পাইলট এবার চিন্তনের পরামর্শ দিলেন। কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দলের এই পরাজয়ের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা এবং আত্মদর্শনের দরকার আছে। এতেই না-থেমে তিনি বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) লোকেশ শর্মার মন্তব্যকে 'আশ্চর্যজনক' বলে সমালোচনা করেছেন।
রাজস্থানের কংগ্রেস রাজনীতিতে গেহলট আর পাইলট, দুই শিবিরের বিবাদ বহুচর্চিত। সেই বিবাদ উসকে কটাক্ষের সুরে পাইলট বলেন, 'আমরা ঐতিহ্য (টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় না আসতে পারা) ভাঙার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি। এটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। প্রতিবার সরকার গঠনের পর (রাজস্থানে) আমরা এর পুনরাবৃত্তি করতে পারি না। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে।' পাইলটের একথা বলার কারণ, গেহলট মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কংগ্রেস টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরতে পারেনি। ২০০৩, ২০১৩, ২০২৩- এনিয়ে তিনবার এমনটাই ঘটল।
পাইলট বলেন, 'ফের সরকারে আসা আমাদের সবারই লক্ষ্য ছিল। আমাদের এ ব্যাপারে সততার সঙ্গে আত্মবিশ্লেষণ করা উচিত। আর, আমাদের তা করতে হবে। আমরা কেন সফল হতে পারিনি, তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। সেগুলোর ওপর কাজ করতে হবে। আমাদের মধ্যে প্রতিটি স্তরে চিন্তন (চিন্তা) এবং আত্মচিন্তা (আত্মচিন্তন)-র অভাব ছিল।' গেহলটের ওএসডির মন্তব্য সম্পর্কে রাজস্থানের টংক-এ পাইলট বলেন, 'উনি যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা দেখেছি। এটা খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার। কারণ, এটা একজন মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডির বক্তব্য। এটা উদ্বেগের বিষয়।'
আরও পড়ুন- চেন্নাইয়ের সড়ক এখন জলপথ, ১৭ প্রাণহানির পর দুর্বল ঘূর্ণিঝড় মিচাং, ভাসছে অন্ধ্র উপকূলও
এর আগে গেহলটের ওএসডি লোকেশ শর্মা বলেছিলেন, 'গেহলট হাইকমান্ডের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি সঠিক প্রতিক্রিয়া হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছতে দেননি। সমস্ত প্রতিক্রিয়া এবং সমীক্ষা উপেক্ষা করেছেন। সমীক্ষায় স্পষ্ট পরাজয়ের ইঙ্গিত থাকা সত্ত্বেও তাঁর প্রিয় প্রার্থীদের টিকিট পাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।'