তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার দিনই ফের 'বেসুরো' মন্তব্য করে জল্পনা উস্কে দিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। 'সম্মান-অসম্মান' নিয়ে দলের ভূমিকা নিয়ে ফের মন্তব্য করেন তিনি। তবে, জানিয়েছেন, তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যাই।
ঠিক কী বলেছেন শতাব্দী?
বিধানসভা নির্বাচনের আগে শতাব্দী রায়ের মন্তব্য ঘিরে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। গুঞ্জন শাসক দলের অন্দরেও। এদিন তারাপীঠে পুজো দেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সেখানেই সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, 'দল থেকে যাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা সম্মান পাননি। নেতা ও দল উভয়েরই পরস্পরের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। দলের উচিত তাঁদের কথা ভাবা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা।'
যদিও, দুঃসময়ে কোনও নেতা-কর্মীরই দল ছাড়া উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, 'দলের কর্মীদেরও উচিত এই খারাপ সময়ে নেত্রীর পাশে থাকা।'
এই প্রথম নয়, এর আগেও 'বেসুরো' বেজেছিলেন শতাব্দী। জোড়া-ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখানো প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মূহুর্তে নাটকীয় বদল ঘটে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের হস্তক্ষেপে দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় মেলে রফা সূত্র। তারপরই অভিষেকের ভূয়সী প্রশংসা করে তৃণমূলেই থেকে য়াওয়ার ঘোষণা করেছিলেন বীরভূমের সাংসদ। তাঁর ক্ষোভের বিষয়গুলি সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দল দিয়েছে বলে দাবি করেন শতাব্দী রায়। ফেসবুকে জানান, 'ভোটের আগে বাংলার স্বার্থে আমরা গোটা তৃণমূল পরিবার এক হয়ে লড়াই করি'। সুর নরম করতেই তাঁরে দলের রাজ্যস্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূমের সভাতেও আগাগোড় ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ভোটের আগে স্বস্তিতে ছত্রধর, কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ NIA-র গ্রেফতারির আবেদন
আরও পড়ুন- মোদীর ছবি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে প্রশ্ন নির্বাচন কমিশনের, জয় দেখছে তৃণমূল
কিন্তু, সেই বিদ্রোহের মাস গড়াতেই 'সম্মান-অসম্মান' নিয়ে ফের দলীয় লাইনের বিপক্ষে মুখ খুললেন শতাব্দী রায়। ফলে নানা জল্পনা মাথাচাড়া দিচ্ছে।
শতাব্দী রায়ের এদিনের মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'সাংসদের কথার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। তৃণমূল একজোট। যাঁরা নিজেদের স্বার্থে দলে এসেছিলেন, তাঁরা চলে যাচ্ছেন, দলের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।'
যদিও ভোটের ঠিক আগে তারাপীঠে শতাব্দীর মন্তব্য তৃণমূলের অন্দরের নানা জল্পনায় অন্যমাত্রা যোগ করল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
‘দলত্যাগীরা সম্মান পাননি-দলের দেখা উচিত’, ফের 'বেসুরো' শতাব্দী
তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার দিনই ফের 'বেসুরো' মন্তব্য করে জল্পনা উস্কে দিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়।
Follow Us
তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার দিনই ফের 'বেসুরো' মন্তব্য করে জল্পনা উস্কে দিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। 'সম্মান-অসম্মান' নিয়ে দলের ভূমিকা নিয়ে ফের মন্তব্য করেন তিনি। তবে, জানিয়েছেন, তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যাই।
ঠিক কী বলেছেন শতাব্দী?
বিধানসভা নির্বাচনের আগে শতাব্দী রায়ের মন্তব্য ঘিরে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। গুঞ্জন শাসক দলের অন্দরেও। এদিন তারাপীঠে পুজো দেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সেখানেই সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, 'দল থেকে যাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা সম্মান পাননি। নেতা ও দল উভয়েরই পরস্পরের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। দলের উচিত তাঁদের কথা ভাবা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা।'
যদিও, দুঃসময়ে কোনও নেতা-কর্মীরই দল ছাড়া উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, 'দলের কর্মীদেরও উচিত এই খারাপ সময়ে নেত্রীর পাশে থাকা।'
এই প্রথম নয়, এর আগেও 'বেসুরো' বেজেছিলেন শতাব্দী। জোড়া-ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখানো প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মূহুর্তে নাটকীয় বদল ঘটে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের হস্তক্ষেপে দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় মেলে রফা সূত্র। তারপরই অভিষেকের ভূয়সী প্রশংসা করে তৃণমূলেই থেকে য়াওয়ার ঘোষণা করেছিলেন বীরভূমের সাংসদ। তাঁর ক্ষোভের বিষয়গুলি সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দল দিয়েছে বলে দাবি করেন শতাব্দী রায়। ফেসবুকে জানান, 'ভোটের আগে বাংলার স্বার্থে আমরা গোটা তৃণমূল পরিবার এক হয়ে লড়াই করি'। সুর নরম করতেই তাঁরে দলের রাজ্যস্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূমের সভাতেও আগাগোড় ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ভোটের আগে স্বস্তিতে ছত্রধর, কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ NIA-র গ্রেফতারির আবেদন
আরও পড়ুন- মোদীর ছবি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে প্রশ্ন নির্বাচন কমিশনের, জয় দেখছে তৃণমূল
কিন্তু, সেই বিদ্রোহের মাস গড়াতেই 'সম্মান-অসম্মান' নিয়ে ফের দলীয় লাইনের বিপক্ষে মুখ খুললেন শতাব্দী রায়। ফলে নানা জল্পনা মাথাচাড়া দিচ্ছে।
শতাব্দী রায়ের এদিনের মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'সাংসদের কথার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। তৃণমূল একজোট। যাঁরা নিজেদের স্বার্থে দলে এসেছিলেন, তাঁরা চলে যাচ্ছেন, দলের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে।'
যদিও ভোটের ঠিক আগে তারাপীঠে শতাব্দীর মন্তব্য তৃণমূলের অন্দরের নানা জল্পনায় অন্যমাত্রা যোগ করল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন