দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী। কিন্তু কোভিড সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট ঘিরে দেশজুড়ে আতঙ্ক। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট অনুসারে, আগাম সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই ভারতে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। এতে শিশুদের বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট উল্লেখ করে মঙ্গলবার নবান্নকে সতর্ক করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা ও শিশু চিকিৎসা পরিষাবার রাজ্যের কী পদক্ষেপ? পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্য সচিবের কাছে তা পুঙ্খনুপুঙ্খ জানতে চেয়ে এ দিন টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
টুইটে কী লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রাজ্যের আগাম পদক্ষেপ, শিশু চিকিৎসা পরিষেবাপ প্রস্তুতি জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এমনকী পরিসংখ্যানের বিচারে আগের তুলনায় পরিষেবার কী হাল তা রাজ্য প্রশাসনের কাছে জানতে চান তিনি। একাধিক টুইটে এ দিন শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গঠিত কোভিড বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী তৃতীয় তরঙ্গ অনিবার্য। বিপুল সংখ্যায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা মোকাবিলায়, বিশেষত শিশুদের চিকিৎসায় আগাম প্রস্তুতি প্রয়োজন।"
''সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ভারতে করোনার তৃতীয় সংক্রমণ আছড়ে পড়বে বলে বিশেষজ্ঞ কমিটির কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিয়েছে। মুখ্য ও স্বাস্থ্য সচিবকে আমার প্রশ্ন, দ্বিতীয় তরঙ্গের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কতগুলি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করেছে এবং সেগুলোর বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা কত?''
আরও পড়ুন- করোনা ভ্যাকসিন স্লট বুক করুন এখন WhatsApp-এ
এরপরই শিশুদের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, "টিকাকরণ না হওয়ায় শিশুদের (বিশেষ করে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে) এখনও ঝুঁকি রয়েছে। তৃতীয় ঢেউ বিবেচনা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিশু চিকিৎসা পরিষেবায় কত শয্যা সংখ্যা, চিকিৎসক, সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর ও অ্যাম্বুলান্স বাড়িয়েছে? আগের তুলনায় তার সংখ্যা কত?"
"রাজনীতিকে সরিয়ে রেখে আমার আবেদন, যদি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এখনও করা না হয়ে থাকে যেন তা অবিলম্বে হয়। কারণ আমাদের শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা প্রাপ্য। আমরা শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা চিকিৎসা নিয়ে বাজি ধরতে পারি না ও প্রতিটা শিশু যাতে ভালো চিকিৎসা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ঈশ্বর শিশুদের রক্ষা করুন।"
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে মাসেই করোনার তৃতীয় ঢেউ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে। বেশি আক্রান্ত হবে শিশুরা। এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় করোনা বিশেষজ্ঞ কমিটি। রিপোর্ট অনুসারে, অক্টোবরে তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছবে। দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়ে তার ভয়াবহতা কিছুটা কম হবে।
উল্লেখ্য, কোভিড আবহে গত প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ স্কুল, কলেজ। কবে খুলবে? এই প্রশ্নেই কৌতুহল বাড়ছে পড়ুয়া, অভিভাবকদের। এরই মাঝে সোমবার স্কুল খোলা নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন যে, তৃতীয় ডেউ না এলে ও সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে পুজোর ছুটির পর স্কুল খুলতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন