একদা ছায়াসঙ্গীর সঙ্গে কী শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর মান-অভিমান পর্ব ঘুচলো? সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন সোনালি গুহ। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের আমন্ত্রণেই সেখানে যান তিনি। যাকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, প্রাক্তন সাতগাছিয়ার বিধায়কের এখন তৃণমূলে ফেরা কার্যত সময়ের অপেক্ষা।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন সোনালি গুহ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে তিনি বলেছেন, 'দিদির পরিবারের আমন্ত্রণেই কালীঘাটে গিয়েছিলাম। ওই পরিবারের সঙ্গে আমার বহু দিনের সম্পর্ক। মুখ্যমন্ত্রীআমাকে দেখেছেন। তবে কথা হয়নি।'
আরও পড়ুন- “আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না”, মমতার ‘স্নেহতলে’ ফিরতে চান সোনালি
সূত্রের খবর, মমতার কালীঘাটের বাড়িতে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি প্রয়াত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়ায় নিমন্ত্রণ রক্ষা করতেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান সোনালি গুহ।
আরও পড়ুন- বিজেপি দিদির নামে কুৎসা করতে বলেছিল, আমি করিনি: সোনালি গুহ
একুশের ভোটে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সোনালি গুহ। যোগ দেন বিজেপিতে। তবে টিকিট পাননি তিনি। গেরুয়া দলে তেমন সক্রিয়ও হতে দেখা যায়নি তাঁকে। দিন কয়েক আগেই বিজেপিতে 'দমবন্ধ' হয়ে যাচ্ছে বলে জানান সাতগাছিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক।
দিন কয়েক আগেই ফের তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। টুইটে লেখেন, 'আমার প্রণাম নেবেন, আমি সোনালি গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম, যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু, সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি, আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।'
তবে, সোনালির আবেদন প্রসঙ্গে এখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি তৃণমূল নেত্রী। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হওয়া সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিন্তু, তারপরই সোনালি গুহর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে, আগামী ৫ই জুন দলীয় বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন