Advertisment

রাজ্য সরকারি কর্মীদের ভোটপ্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখা হোক, কমিশনে একগুচ্ছ আর্জি বিজেপির

কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে বিজেপি ভোটারদের বুথে যেতে আটকাতে পারে তৃণমূল, আশঙ্কা বিজেপির।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
state government workers to be excluded from bhawanipur vote prosess BJP urges to EC

ভবানীপুরের যুযুধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।

৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রে ভোট লড়ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ফলে প্রশাসনকে দিয়ে শাসক দল ভোটারদের উপর ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে পারে আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরের। সোমবার দক্ষিণ কলকাতার এই কেন্দ্র সহ জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে কমিশনের কাছে একগুচ্ছে দাবি-দাওয়া পেশ করে বিজেপি।

Advertisment

তবে, কমিশনের কাছে পদ্ম বাহিনীর দরবারের মূল ফোকাস অবশ্যই ভবানীপুর। এখানে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু করতে মূলত চারটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছে বিজেপি।

কমিশনের কাজে যে চিঠি বঙ্গ বিজেপি নেতারা দিয়েছেন সেখানে উল্লেখ, ৩০ সেপ্টেম্বর যে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট রয়েছে সেখানে সব বুথের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ের করতে হবে। প্রতিটা বুথেই সিআরপিএফ-কে নিরাপত্তায় রাখতে হবে। তিন কেন্দ্রে মোট ১২০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন। বুথ বা নির্বাচনী কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে কলকাতা বা রাজ্য পুলিশের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। ভোটের বাকি আর মাত্র ১৭ দিন। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারিও নিশ্চিত করা হোক। কারণ রাজ্য বা কলকাতা পুলিশ শাসক দলের অনুগামী হয়ে কাজ করতে পারে। অতীতে এর একাধিক উদাহরণ রয়েছে।

আরও পড়ুন- বুধবার অভিষেকের পদযাত্রার অনুমতি দিল না ত্রিপুরা পুলিশ! ‘কর্মসূচি হবেই’, ঘোষণা কুণালের

আরও পড়ুন- ঢাকের বাদ্যি-ধুনুচি নাচ, বর্ণাঢ্য মিছিল শেষে মনোনয়ন জমা প্রিয়াঙ্কার

বিজেপির দাবি, যেসব কেন্দ্রগুলিতে বিধানসভা ভোট রয়েছে, সেখানে কোনও সরকারি আধিকারিকের কাজের মেয়াদ তিন বছর পেরিয়ে গেলে তাঁকে বা তাঁদের অবশ্যই অন্যত্র বদলি করতে হবে। রাজ্য সরকারি সব কর্মীকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় থেকে বাদ দিতে হবে, বিশেষ করে তাঁদের সেক্টর অফিসার ও ভোট কেন্দ্রের মধ্যে কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজে নিয়োগ করা যাবে না। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা হোক। এবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রার্থী। রাজ্য সরকারি কর্মীদের এক্ষেত্রে ভোটে প্রভাব বিস্তারের কাজে ব্যবহার করা হতে পারে।

এছাড়াও আবেদনে বলা হয়েছে যে, কোভিড বিধিকে গুরুত্ব দিয়ে এই নির্বাচনে ভোট কর্মী ছাড়া যেন অন্য কাউকে বুথের মধ্যে বসতে দেওয়া না হয়। প্রার্থীর এজেন্টদের যেন বুথের বাইরে বসার আয়োজন করা হয়।

পাশাপাশি বিজেপির আশঙ্কা, সংক্রমণের কথা বলে কলকাতা পুর এলাকার মধ্যে অনেক বহুতল, আবাসন, বস্তিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করতে পারে রাজ্য প্রশাসন। যেসব অঞ্চলে তৃণমূলের ভোটার কম সেখানেই এই পদক্ষেপের আশ্রয় নিতে পারে শাসক শিবির। এই বিষয়টিকেও যেন কড়া নজরে রাখে কমিশন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp election commission Arjun Singh Bhawanipur
Advertisment