নতুন বছরে প্রথম জনসভায় ফের অভিষেকের নিশানায় শুভেন্দু ও বিজেপি। বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুরের সভা থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আক্রমণ করে যুব তৃণমূল সভাপতির মন্তব্য, ‘‘এই সব বহিরাগতরা ভোটের পর রাজ্য থেকে পালিয়ে যাবে।’’ এদিন নাম করে শুভেন্দুকে তোলাবাজ, দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা এবং অমিত শাহকে বহিরাগত বলে তোপ দেগেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই 'তোলাবাজ ভাইপো হাটাও' স্লোগান দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার জবাবে শুভেন্দুকে এর আগে ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে তোলাবাজ বলে কটাক্ষ করেছিলেন অভিষেক। এদিন গঙ্গারামপুরের সভাতেও অভিষেকের আক্রমণ, ‘‘আমাকে তোলাবাজ ভাইপো বলা হচ্ছে। কিন্তু তোলাবাজ তো আপনি। টিভিতে টাকার বান্ডিল নিতে আপনাকেই দেখেছিল মানুষ।’’
আরও পড়ুন কোনও জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ হয়নি, ‘ভিত্তিহীন’ খবর বলে দাবি তৃণমূলের
এরপর সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অভিষেক, টিভিতে টাকা নিতে কাকে দেখেছিলেন? কে টাকা নিয়েছিল?" জনতা চেঁচিয়ে বলে, 'শুভেন্দু অধিকারী'। এদিন ফের অভিষেক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, "আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লাগাতে হবে না। তোলাবাজ প্রমাণ করতে পারলে একটা ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করুন, আমি নিজে গিয়ে ফাঁসিতে ঝুলতে রাজি আছি।" শুভেন্দু বারবার নিজের বক্তব্যে বলেন, বাংলাকে মোদিজির হাতে তুলে দিতে হবে। কেন্দ্র-রাজ্যে একই দলের সরকার থাকলে বাংলার উন্নয়ন সম্ভব।
সেই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে অভিষেক এদিন বলেছেন, ‘‘কেন দিল্লি আর কলকাতায় একই সরকার থাকবে? চুরি করায় সুবিধা হবে বলে?’’ অভিষেকের দাবি, ‘‘দেখবেন মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতে কোনও চোর ধরা পড়ে না। দুর্নীতি ধরা পড়ে না। কারণ ওই সব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে সিবিআইও নেই, ইডিও নেই।
আরও পড়ুন ৭২ ঘন্টার মধ্যে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’র দাবি জানিয়ে বাবুলকে আইনি নোটিস অভিষেকের
বহিরাগত ইস্যুতে এদিন তাঁর তোপ, ‘‘আমাকে তোলাবাজ ভাইপো বলে আক্রমণ করছে। আমার নাম নিতে পারে না। কিন্তু আমি নাম করে বলছি, দিল্লির নেতারা বহিরাগত। অমিত শাহ বহিরাগত। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। দিলীপ ঘোষ গুন্ডা। আকাশ বিজয়বর্গীয় গুন্ডা। হিম্মত থাকলে আমার নামে মামলা করে দেখান। আমি কোর্টে লড়ে নেব।’’