জল্পনা ছিলই, শনিবার ফেসবুক পোস্টে ঢাকঢোল পিটিয়ে জানিয়ে দিলেন। রাজনীতি এবং সাংসদ পদ দুটোই ছাড়ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কয়েক মাসের মধ্যে রাজনীতি থেকে ভক্তি চলে গিয়েছে বাবুলের। বঙ্গ বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তিতিবিরক্ত আসানসোলের দুবারের সাংসদ। শনিবার রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার ঘোষণা হতেই আরও প্রকট হয়েছে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাখঢাক না করেই রাজ্য সভাপতি বলে ফেললেন, "ফেসবুকে কে কী লিখেছে আমি দেখি না। উনি কি ইস্তফা দিয়েছেন? খোঁজ নিন। কে কোথায় যাচ্ছেন, তা নিয়ে আমি কেন বলব, রাজনীতিতে আসা বা ছেড়ে দেওয়া কারও ব্যক্তিগত বিষয়। আমি কিছু বলব না।" দিলীপ যতই এড়িয়ে যান বিষয়টি, কিন্তু বঙ্গ বিজেপিতে মুষলপর্ব এখন প্রকাশ্যে। বিধানসভায় ভরাডুবির পর মোটামুটি সবারই রোষের কেন্দ্রবিন্দু দিলীপ। রাজ্য সভাপতিকে নিশানা করেছেন সৌমিত্র থেকে শুরু করে অনেকেই। সৌমিত্র অবশ্য ক্ষমা চাইলেই বাবুল সেই শ্রেণির লোক নন তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন দিলীপ।
আরও পড়ুন রাজনীতিকে ‘আলবিদা’ বাবুল সুপ্রিয়র, ছাড়ছেন সাংসদ পদও
এদিন এড়িয়ে গেলেও ব্যঙ্গ করতে ছাড়েননি দিলীপ। বলেছেন, "মাসির গোঁফ হলে মাসি বলব না মেসো বলব তা ঠিক করব। আগে তো মাসির গোঁফ হোক।" এদিন সাংবাদিক বৈঠকের কোনও ইস্যু ছিল না। কিন্তু ফেসবুকে বাবুলের বিস্ফোরণের পর দিলীপকে চেপে ধরে সংবাদমাধ্যম। তাতে ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়ে যান তিনি। বলেই দেন, এই বিষয়ে আর কোনও প্রশ্ন করলে সাংবাদিক বৈঠক শেষ করে দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন গায়ক নাকি রাজনীতিবিদ-‘গভীরভাবে ভাবাচ্ছে আমাকে’, বাবুলের পোস্ট ঘিরে গুঞ্জন
প্রসঙ্গত, বিতর্ক উস্কে সক্রিয় রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করলেন বাবুল সুপ্রিয়। ফেসবুক পোস্টে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী লিখলেন, “চললাম, আলবিদা”। একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা সাসংদও পদেও ইস্তফা দেবেন তিনি। স্পষ্টভাবে তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার সঙ্গে তাঁর রাজনীতি ছাড়ার পদক্ষেপ গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। দলের অন্দরে বাবুল সুপ্রিয় কোণঠাসা- তা এযাবৎ প্রকাশ্য়ে এসেছিল। এই ইস্যুতে আসানসোলের সাংসদের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট “2014 আর 2019 -এর মধ্যে অনেক ফারাক।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন