এর আগে বলেছেন শুধু বদল নয়, বদলাও হবে। এবার বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, রাজনৈতিক প্রতিহংসা থেকে যাঁরা জেলে গিয়েছেন, কষ্ট পাচ্ছেন ক্ষমতায় এলে বিজেপি তাঁদের মুক্তি দেবে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস, সিপিএম বা তৃণমূল নেতা বা সমর্থক কিনা তা-ও দেখা হবে না। তিনি এতটাই 'কনফিডেন্ট' যে ২০২১-এর মে-তে বিজেপি যেন ক্ষমতায় চলেই আসবে। আগে-ভাগে নানা ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধদের দলে টানতে চাইছেন বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন।
রাজ্য বিজেপি অভিযোগ করে আসছে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের পরিকল্পনা করে খুন করা হচ্ছে। পুজোর মধ্যে তাঁদের স্থানীয় নেতাদের ওপর হামলা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমন অভিযোগ করে আসছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বাগনানে স্থানীয় বিজেপি নেতাকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে সেখানে এদিন ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বাগনান পৌঁছালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। জগদ্দলে মৃত বিজেপি কর্মী মিলন হালদারের বাড়িতে যান সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিন দিলীপ ঘোষের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অত্যাচারিত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন বাগনানে বনধে তুমুল উত্তেজনা, পুলিশ-বিজেপি কর্মী সংঘর্ষ
আদপে কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
"তৃণমূলের অপশাসনের বিরোধিতা করলে আপনাকে কেস খেতে হবে, মার খেতে হবে, জেলে যেতে হবে। হাজার হাজার লোকের নামে কেস দিতে হবে। কেস দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। মজার ব্যাপার যে দল ক্ষমতায় আছে তাঁর প্রত্যেক নেতার নামে কেস আছে। কারণ দল ছেড়ে চলে গেলে জেলে ঢোকানো হবে। তৃণমূলের সমর্থক ছিলেন তাঁদের কেস দিয়ে ঘর ছাড়া করা হয়েছে। এই মঞ্চ থেকে ঘোষণা করছি, মে মাসে যেদিন বিজেপি সরকার গঠন হবে সেদিন সমস্ত রাজনৈতিক কেস তুলে নেব। শুধু বিজেপি নয় সিপিএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের যাঁরা দলের নেতাদের দ্বারা কেস খেয়েছেন তাঁদেরও মুক্ত করে দেব। এটা আমি দিলীপ ঘোষ বলে দিচ্ছি। রাজনৈতিক প্রতিহংসা থেকে জেলে যাচ্ছেন, কষ্ট পাচ্ছেন। তাঁদের আমরা মুক্তি দেব।"
আরও পড়ুন ফের রাজ্য সফরে আসছেন নাড্ডা, নভেম্বরে আসতে পারেন অমিত শাহও
এরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে। যুযুধান সব পক্ষই তেড়েফুঁড়়ে উঠেছে। বিজেপি দাবি করছে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে তৃণমূল দাবি করে আসছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি দিয়ে প্রতিহংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ তুলছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, দিলীপ ঘোষের আশ্বাস কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা কেস থেকে রেহাই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নয়া রাজনৈতিক কৌশল। অনেক জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে দলের মধ্যেই বিক্ষুব্ধ অংশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাঁদের কাছে পেতে চাইছে বিজেপি। বাড়তি কংগ্রেস ও সিপিএমের একাংশকেও দলে টানতে চাইছে বিজেপি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন