এরাজ্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ৫ জন। এবার টুইট করে স্বয়ং একথা বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদ লিখেছেন, "আমি অত্যন্ত গর্বিত যে আমি রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন পাঁচজন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ তৈরি হয়েছে।" বিজেপি ক্ষমতায় এলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেক্ষেত্রে একাধিক নাম নিয়ে চর্চাও চলেছে বাংলার রাজনীতিতে।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। রীতিমতো ভোটের গন্ধ আকাশে-বাতাসে। রাজনৈতিক দৌড়-ঝাপ শুরু করে দিয়েছে ডান-বাম সব পক্ষই। ৬ মাস আগেই ভোটের টেম্পো উঠে গিয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। কখনও এই চর্চায় এসেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, আবার কখনও এসেছে সদ্য মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করা নন্দীগ্রামের নায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নাম। বিজেপির সঙ্গে এদের কোনও কথা হয়েছে কী না এবিষয়ে অমিত শাহ জল্পনা জিইয়ে রেখে জবাব দিয়েছিলেন, "এই দুজন কেন তালিকা আরও দীর্ঘ।" তারপর থেকে জল্পনা আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন ‘ঘনঘন এখন তৃণমূলের বিপর্যয় মোকাবিলা বৈঠক হবে’, কটাক্ষ দিলীপের
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়েছিলেন হঠাৎই। কাকপক্ষীতেও টের পায়নি বেহালার ছেলে সভাপতি হচ্ছেন। অমিত পুত্র জয় শাহ হয়েছেন বোর্ডের সচিব। সভাপতি হওয়ার আগে অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সৌরভ। সেই বৈঠকে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি বললেও গেরুয়া শিবিরের সম্মতি ছিল বলেই সৌরভ সভাপতি হয়েছেন, তা নিসন্দেহে বলা যায়। যদিও পরবর্তীতে এ বিষয়ে যখনই কোনও প্রশ্ন এসেছে সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন সৌরভ।
অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুর বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা তো রয়েছেই। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ায় সেই গুঞ্জন ফের বেড়েছে। তৃণমূল অভিযোগ করে আসছে বিজেপি বহিরাগতদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, "এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন কোনও ভূমিপুত্রই।" বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও বাঙালিই হবেন তা নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। তা সত্বেও এই 'ভূমিপুত্র' শব্দে জোর দেওয়ায় বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল। যদিও এরাজ্যের দলীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়ে ছিলেন, নির্বাচনের পর আলোচনা করে ঠিক হবে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
আরও পড়ুন ‘মমতার কাছে প্রশাসন চালানো শিখুন মোদী’, স্বাস্থ্যসাথীর প্রশংসা করে খোঁচা অভিষেকের
বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে আরও অনেক নাম উঠেছে। নাম উঠেছিল সাধুসন্তদেরও। এমনকী রাজ্যসভার বাঙালি সাংসদের নাম নিয়েও কম জল্পনা হয়নি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা এখন নিত্য আলোচনার বিষয়। তবে পাঁচ জনের মুখের কথা বললেও তা খোলসা করেননি দিলীপ ঘোষ। তাহলে কী ওই তালিকায় তাঁর নামও আছে! স্বয়ং বঙ্গ বিজেপির সভাপতির নামও মাঝে মধ্যে আলোচনায় উঠে আসে। অবশেষে দিলীপ ঘোষ স্বীকার করেছেন পাঁচ জন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ তৈরি হয়েছে। এদিন টুইটের প্রথমে সাংবাদিকের নাম করে একথা উল্লেখ করেছেন। পরে অবশ্য তার বক্তব্যে স্বীকারোক্তিই প্রকাশ পেয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন