দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন বিজেপির বিধায়করা তৃণমূলে আসার জন্য় লাইন দিয়ে আছেন। পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে বিজেপির একাধিক বিধায়ক পর্যায়ক্রমে ঘাসফুল শিবিরে ভিড় জমিয়েছেন। তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন অধিকাংশ দলবদল করা নেতৃত্ব। ফের বঙ্গ বিজেপি ভাঙার ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '৭-৮ জন বিজেপি বিধায়ক আসতে চায়। আরও অনেকে আসতে চাইছে। তবে জোর করে কাউকে নেব না। ভালবেসে দলে নেব।' সম্প্রতি রাজ্য কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিজেপিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে দল সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তা্ঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের তদন্ত করছে দল। জেলায় জেলায় এখনও বিদ্রোহ জারি রয়েছে গেরুয়া শিবিরে। তারমধ্যে তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্য নতুন করে বিজেপির ভাঙনের সূত্রপাত হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মুকুল রায়কে দলে নিয়ে এখনও বিড়ম্বনায় রয়েছে তৃণমূল। কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ককে বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তা নিয়ে বিরোধী দলনেতা প্রথমে বিধানসভার অধ্যক্ষ, পরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এখনও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। এরই মধ্যে ফের বিজেপি বিধায়কদের তৃণমূলে যোগাযোগের কথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন কংগ্রেস নয়, বিজেপিকে সরাতে আঞ্চলিক দলগুলিকে পাশে চান মমতা
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। বিধায়ক থেকে বিজেপির রাজ্য ও স্থানীয় স্তরের নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগ দেন। এখনও দলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ রয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'অর্থের লোভ দেখিয়ে, মন্ত্রিত্ব দিয়ে দলে টানছে তৃণমূল। এর পরিণতি কী হয় তা আগেই দেখা গিয়েছে।'