নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেও বজায় থাকল তৃণমূল-বিজেপি কোন্দল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে দফায় দফায় উঠে আসছে হিংসার ঘটনার খবর। বৃহস্পতিবার পার্টি অফিস দখল ঘিরে চুঁচুড়ায় থানায় ঢুকে ধর্নায় বসলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে থানার মধ্যে ঢুকেই ধর্নায় বসেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, "তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করে নিয়েছে বিজেপি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জেরেই বিজেপি সাহস পেয়েছে তৃণমূল অফিস দখল করার। পুলিশকে বারবার জানানো হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে নি।"
আরও পড়ুন: নৈহাটিতে আজ মমতার অবস্থান বিক্ষোভ
তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি বলে, "এই দখলদারির রাজনীতির সঙ্গে আমাদের দলের কোনও যোগ নেই। এর আগে এই পার্টি অফিস ছিল সিপিএমের, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তারা সেগুলি দখল করে।" এদিন তৃণমূলের বিধায়ক অসিত মজুমদার বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগও করেন। তিনি আরও বলেন, "বিভিন্ন পার্টি অফিস ভাঙচুর করে, নথি ফেলে দেয় বিজেপি। আমি চুঁচুড়ার আইসি এবং চন্দননগরের কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও ফল হয়নি। এঁরা সব বিজেপির দালাল হয়ে গেছেন।"
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত বদল, স্কুল খোলার দিন ঠিক করলেন শিক্ষামন্ত্রী
প্রসঙ্গত, পার্টি অফিস দখল, তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ, তাঁদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে নৈহাটি থেকে। সেই সব কর্মীদের সমর্থনে নৈহাটিতে আজ অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্রাত্য বসু, দীনেশ ত্রিবেদী, বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু প্রমুখেরা।