১০ তারিখ জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত বন্ধ ডেকেছে বিরোধী পক্ষ। তাতে কিছু যায় আসে নি তেলের দামের। আজ রবিবারও বেড়ে গেল তেলের দাম। পেট্রোলের দাম আশি টপকে গেছে দিন কয়েক আগেই। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি। লাগাতার বাড়ছে পেট্রোল ডিজেল সহ জ্বালানির দাম। শনিবারের তুলনায় রবিবার কলকাতায় ১২ পয়সা দাম বেড়েছে পেট্রলের ৷ ডিজেলের দাম বেড়েছে ১০ পয়সা ৷ কেবল পেট্রোল-ডিজেলই নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দামও৷
আরও পড়ুন: ২০১৪ সালের থেকে বেশি আসন ২০১৯-এ, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বললেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ
পেট্রোলের দাম বাড়ল লিটারে ১২ পয়সা ৷ লিটার প্রতি ১০ পয়সা দাম বেড়েছে ডিজেলের ৷ রবিবার কলকাতায় পেট্রলের দাম ৮৩ টাকা ৩৯ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৭৫ টাকা ৪৬ পয়সা৷ দিল্লিবাসীকে পেট্রোল কিনতে গেলে লিটার প্রতি দিতে হবে ৮০ টাকা ৫০ পয়সা৷ মুম্বইয়ে পেট্রোলের দাম ৮৭ টাকা ৮৯ পয়সা ৷ লিটার প্রতি ৮৩ টাকা ৬৬ পয়সা দরে চেন্নাইয়ে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল ৷
সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, দেশের বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশকে ছাপিয়ে গেছে। বিরোধীরা অবশ্য বলছেন একই সঙ্গে হু হু করে কমা টাকার দাম আর পেট্রোল-ডিজেলের আকাশ ছোঁয়া দাম নিয়ে দেশের বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে পোঁছতে পারে কী ভাবে?
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ভারত বনধ
বহুলাংশে পড়ে গেছে টাকার দাম। প্রতি মার্কিন ডলার পিছু ৩৭ পয়সা কমল টাকার দাম। অর্থাৎ ১ মার্কিন ডলারের ভারতীয় মূল্য এখন ৭২ টাকা ১২ পয়সা। স্বাধীন ভারতে এই প্রথম এতটা পড়ে গেল টাকার দাম। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, এরকম চলতে থাকলে খুব শিগগির দাম বাড়তে পারে খাদ্য পণ্যের।
অন্যদিকে ডিজেল এবং পেট্রোলের আকাশছোঁয়া দাম প্রসঙ্গে পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান রবিবার বলেন, এই মূল্যবৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদী নয়। তিনি আরও বলেন, ‘‘ওপেকের আওতায় পড়া দেশগুলো দৈনিক ১০ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন বাড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা রাখতে পারেনি। স্বভাবতই চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় বাড়ছে তেলের দাম।