New Update
Advertisment
দমদম উত্তরের বাম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করল সিপিএম। আগামী ৩ মাস কোনও সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি এমনকী কোনও বিতর্কসভায় দলের হয়ে অংশ নিতে পারবেন না সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এই সদস্য।
একুশের ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মোর্চার। বাংলার ৩৪ বছরের বামফ্রন্টের প্রধান শাসক দল সিপিএম এবারের ভোটে একটা আসনেও জয়লাভ করেনি। বিধানসভা বাম শূন্য। এই বিপর্যয়ের জন্য দলের রণকৌশল নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন তন্ময়বাবু। প্রশ্ন তুলেছিলেন আইএসএফ-র সঙ্গে জোট নিয়ে। হারের দায়ে দলের রণকৌশল নির্ধারণকারী নেতৃত্বকেই নিতে হবে বলে তোপ দেগেছিলেন তিনি। যা দল অনুমোদন করেনি। তাই তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করল সিপিএম।
ভোটের ফলাফলের পর তন্ময় ভট্টাচার্যের মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়। তারপরই দলীয় মুখপত্রে বিবৃতি প্রকাশ করে সিপিএম। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদকের নামে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, 'তন্ময় ভট্টাচার্য যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। পার্টি পরিচালনা বা নেতৃত্বের বিষয়ে যা বলেছেন সে ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন- ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট, জল্পনা বাড়ালেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু!
এরপর নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে দলের কাছে যুক্তি দেন তন্ময়। শনিবারের রাজ্য কমিটির বৈঠকে তাঁর সেই মন্তব্য মান্যতা পায়নি। উল্টে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের বিবৃতিতেই সিলমোহর দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। সর্বসম্মতিক্রমে তন্ময়কে ৩ মাসের জন্য মুখ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
কী বলেছিলেন তন্ময় ভট্টাচার্য?
ভোটে ভরাডুবির পর ওইদিনই সংবাদ মাধ্যমে উত্তর দমদমের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বলেন, 'দলের এই ব্যর্থতার দায় নেতৃত্বের। আমাদের নয়। নিচুতলার কর্মীদেরও নয়। লোকসভায় শূন্য হয়ে যাওয়ার পরেও সেই দায় কেউ নেননি। বিধানসভায় হারের পরেও কেউ দায় নেবেন না। শুধু স্তালিন কপচালে হবে না। এটা স্তালিনের যুগ নয়।' কে বা কারা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে জোটের অনুমোদন দিল তা নিয়ে বিস্ফোরক ছিলেন তন্ময় ভট্টাচার্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন