গণপিটুনির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে বিশিষ্টদের চিঠি নিয়ে যখন তোলপাড় দেশ, ঠিক সেই আবহে এবার এ ইস্যুতে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ তথা টলি তারকা নুসরত জাহানও। গণপিটুনি রুখতে আইন আনুক সরকার, এমন অনুরোধ করেই এবার টুইট করলেন বসিরহাটের সাংসদ। পাশাপাশি, মোদী সরকারকে বিঁধে নুসরত লিখেছেন, ২০১৪-২০১৯ সালের মধ্যে মুসলিম, দলিত, সংখ্যালঘুরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। সব কিছু দেখেও ‘সরকার চুপ’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন: মোদীকে চিঠি দিলেন অপর্ণা-অঞ্জন সহ বিদ্বজ্জনেরা
ঠিক কী লিখেছেন নুসরত?
টুইটারে নুসরত জাহান লিখেছেন, ‘‘দেশে গণপিটুনির ঘটনা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মুসলিম, দলিত, সংখ্যালঘুদের উপর সবথেকে বেশি ঘৃণ্য অত্যাচার হয়েছে। ২০১৯ সালে এখনও পর্যন্ত ১১টিরও বেশি এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সকলেই সংখ্যালঘু’’। এরপরই বসিরহাটের সাংসদ লিখেছেন, ‘‘গো রক্ষার নামে এসব ঘটনা ঘটছে। কোথাও গো মাংস খাওয়ার গুজবে এ ঘটনা ঘটছে, কখনও গরু পাচারের অভিযোগে এসব ঘটনা ঘটছে...সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও নীরবতা সবচেয়ে ব্যথার। এদেশে বিচার না পাওয়াদের নাম আছে অনেক। কোনও সময় তাঁর নাম তারবেজ আনসারি, কোনওসময় মহম্মদ ইখলাখ, পেহলু খান ও আরও অনেকে। রামের নাম নিয়েও এখন গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। গণপিটুনির অপরাধীরা দেশের শত্রু ও জঙ্গি ছাড়া কিছু নয়। গত বছরের ১৭ জুলাই এ ধরনের জঘন্যতম ঘটনা রুখতে সরকারকে কড়া আইন আনতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সরকার চুপ’’।
আরও পড়ুন: ‘স্বামীর কথায় নুসরত কি বিজেপিতে যাচ্ছেন?’
নুসরত জাহানের এই টুইটের পাল্টা হিসেবে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘নুসরত জাহানকে বলব, আপনি প্রথম আপনার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখুন, যাতে ওঁর এলাকায় গণপিটুনি বন্ধ হয়। সন্দেশখালিতে আমাদের ৪ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এখনও ২ জনের দেহ পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে বলা হোক এসব। সবচেয়ে বেশি গণপিটুনির ঘটনা বাংলাতেই ঘটছে’’।