ছয় দশকের ক্রিকেট ইতিহাসে পাকিস্তান কখনও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি। ২০১৬-১৭ সালে শেষবার যখন পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছিল, সেই সময় পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন স্বয়ং মিসবা।
ছয় দশকের ক্রিকেট ইতিহাসে পাকিস্তান কখনও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি। ২০১৬-১৭ সালে শেষবার যখন পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছিল, সেই সময় পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন স্বয়ং মিসবা।
পাকিস্তানি নয়া পেস সেনসেশন নাসিম শাহ (পিসিবি টুইটার)
ঘরের মাটিতেই শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে ভরাডুবি ঘটেছে। সেই সফরের ফলাফলকে পিছনে রেখে পাকিস্তান এবার খেলতে নামছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। তিনটে টি২০ সহ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান। পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পাকিস্তান বেশ কিছু পরিবর্তন করেছে। সব ফর্ম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সরফরাজ আহমেদকে। কোচ মিসবা উল হক দলের ভোল বদলাতে নিয়ে এসেছেন ১৬ বছরের এক পেসারকে। টিনএজার নাসিম শাহ-ই অস্ট্রেলিয়ায় তাঁদের তুরুপের তাস হবে, এমনটাই বিশ্বাস করছেন প্রধান নির্বাচক ও কোচ মিসবা উল হক।
Advertisment
নভেম্বর মাসের ২১ তারিখ থেকে ব্রিসবেনের গাব্বায় শুরু প্রথম টেস্ট। সেই টেস্টেই অভিষেক ঘটবে টিনএজার পেসারের। এখনও স্কুলের গণ্ডির বাইরে বেরোয়নি নাসিম। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা বলতে মাত্র ৫টা ম্যাচ! এমন কিশোর পেসারের উপরেই ভরসা করছে পাকিস্তান। নির্বাচক ও কোচ মিসবা নাসিমের পেস ও লেট সুইং করানোর দক্ষতা দেখে মুগ্ধ।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রচারমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে মিসবা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার পেস সহায়ক উইকেটে নাসিম দারুণ উপযোগী হতে পারেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, "অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে যেখানে পেস ও বাউন্সের উপযোগী, সেখানে নাসিম কেমন বোলিং করে, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি আমরা।" পাশাপাশি মিসবার সংযোজন, "নতুন ও পুরনো দুই ধরনের বলেই নাসিম সমান কার্যকর। সঠিক জায়গায় বল রাখলে ও অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।"
ছয় দশকের ক্রিকেট ইতিহাসে পাকিস্তান কখনও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি। ২০১৬-১৭ সালে শেষবার যখন পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছিল, সেই সময় পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন স্বয়ং মিসবা। সেই সফরে যদিও পাকিস্তান ০-৩ ফলাফলে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল।
যাইহোক, আপাতত ১৬ বছরের পেসারের হাত ধরে অস্ট্রেলিয়ায় ভাগ্য বদলাতে এসেছে মিসবা অ্যান্ড কোং। গত সেপ্টেম্বরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে অত্মপ্রকাশ ঘটে নাসিমের। পাঁচটা প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অংশ নিয়ে নাসিম ১৮.৭০ গড়ে ১৭টি উইকেট দখল করেছে। শাহ-র উত্থান অবশ্য গলি ক্রিকেট থেকে। অনুর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে অঞ্চল ভিত্তিল ট্রায়াল টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে ৩২টি উইকেট নিয়েছিল শাহ। তারপরেই পাকিস্তানের জার্সিতে অনুর্ধ্ব-১৬ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ দেওয়া হয় তাকে।
শাহ-র ফেভারিট বোলার প্রাক্তন কিউয়ি স্পিডস্টার শেন বন্ড। তবে শোয়েব আখতারের মতো বোলিং করতে চায় সে। অজিদের বিরুদ্ধে ব্রিসবেনে নাসিম শাহ খেললে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অভিষেক করা কমবয়সী ক্রিকেটারদের তালিকায় নবম স্থানে থাকবে সে। টেস্টে সেই হিসেবে সবথেকে কমবয়সী ক্রিকেটার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে সে।