তিনি নোবেল জয়ী। অর্থনীতিতে বিশ্বজোড়া নাম। আবার তিনি ফুটবলপ্রেমীও। নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুপ্ত ইচ্ছে যুবভারতীতে সল্টলেক স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে মোহনবাগানের ম্যাচ দেখার। ডার্বির রোমাঞ্চ তিনি চেখে দেখতে চান। বুধবারেই নোবেলজয়ীর বাড়িতে গিয়েছিলেন মোহনবাগানের দুই শীর্ষ কর্তা- দেবাশিস দত্ত এবং সৃঞ্জয় বসু। সেখানে গিয়েই কৃতী বাঙালির হাতে ক্লাবের আজীবন সদস্যপদ তুলে দেওয়া হয়। নোবেলজয়ীর নাম লেখা সবুজ-মেরুন জার্সিও তুলে দেওয়া হয় অভিজিৎবাবুর হাতে। পাশাপাশি, মোহনবাগানের ইতিহাস নিয়ে সুবীর মুখোপাধ্যায়ের বই 'সোনায় লেখা ইতিহাস'-ও উপহার দেওয়া হয় তাঁকে।
নোবেলজয়ীর সঙ্গে সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা কেমন? বাগান কর্তা দেবাশিস দত্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে জানালেন, "উনি আমাদের জিজ্ঞাসা করলেন মোহনবাগান কখন আবার ম্যাচ খেলবে, তখন তিনি শহরে ফিরতে চান। আমরা জানালাম, সামনেই আইলিগ। মোহনবাগানের ম্যাচ দেখার জন্য ওঁকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে।"
নোবেলজয়ীর সঙ্গে অবশ্য় ফুটবলের কানেকশন কেবলমাত্র ভাললাগাতেই থমকে নেই। কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়েছেন নোবেলজয়ী। সেই সময় স্কুলে এবং বাড়ির কাছে মাঠে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন কাদামাঠে। বাগানের দুই শীর্ষকর্তার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ৫৮ বছরের অভিজিৎবাবু ফুটবল জীবনের স্মৃতিকথা রোমন্থন করছিলেন। এমনটাই জানালেন দেবাশিসবাবু। ইরানের পাস ক্লাবের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের খেলাও সাগ্রহে দেখেছেন অভিজিৎবাবু। তিনি অবশ্য তখন টিনএজার।
বাগানের দুই কর্তা একান্তে নোবেলজয়ীর সঙ্গে (মোহনবাগান)
কোন ক্লাবের খেলা দেখতে পছন্দ করেন অভিজিৎবাবু? জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি একটুও না থমকে জানিয়েছেন, "কোনও বিদেশি ক্লাব নয়, ভারতীয় ফুটবল দেখতেই পছন্দ করি।"
নোবেলজয়ের পরে মঙ্গলবারেই শহরে ফিরেছিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে সন্ধ্যায় কলকাতায় ফেরার পরে অভিজিৎবাবুকে বিমানবন্দরে রিসিভ করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিমানবন্দরে অভিজিৎকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন অগণিত মানুষ। বুধবার আবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মহানগরে নোবেলজয়ী অভিজিৎকে স্বাগত জানাতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে ব্যানার ও এলডিতে লেখা ছিল ‘বাংলা আপনাকে নিয়ে গর্বিত।” কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের গাড়ি করেই নোবেলজয়ী পৌঁছান তাঁর বাড়িতে।
Read the full article in ENGLISH