Bangladesh Cricket Team: বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে তিন ম্য়াচের টি-২০ সিরিজ আয়োজন করা হয়েছে। সিরিজের প্রথম ম্য়াচটি বাংলাদেশের মিরপুর স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল। এই ম্যাচে পাকিস্তান ৭ উইকেটে পরাস্ত হয়েছে। আর এই লজ্জাজনক হারের পরই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হেড কোচ মাইক হেসন কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। তাঁর কথায়, শের-এ-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে যে উইকেট প্রস্তুত করা হয়েছিল, সেটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।
মাইক হেসন জানিয়েছেন, তাঁর দলের ব্যাটাররা এই উইকেটের চরিত্র একেবারেই বুঝতে পারেনি। সেকারণে তাঁর দল মাত্র ১১০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে। হেসনের কথায়, এই উইকেট একেবারেই ক্রিকেট খেলার অযোগ্য।
Bangladesh Cricket Team: চরম বেইজ্জতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের, তড়িঘড়ি নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত!
ম্যাচের পর হেসন বললেন, 'এই উইকেট ক্রিকেট খেলার পক্ষে একেবারেই অযোগ্য।' সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, 'প্রত্যেকটা দলই আপাতত এশিয়া কাপ কিংবা টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এমন উইকেট একেবারে গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু, আমরা যেভাবে ব্যাটিং পারফরম্য়ান্স করেছি, সেখানে কোনও অজুহাতই একেবারে যথেষ্ট নয়। কিন্তু, এই উইকেট আন্তর্জাতিক মানের নয়।'
Bangladesh Cricket Controversy: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বাংলাদেশ ক্রিকেটে, 'কঠিন সিদ্ধান্ত' নিয়েই ফেলল বিসিবি!
ম্যাচের অষ্টম ওভারের মধ্যেই পাকিস্তান ৪৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। পাকিস্তানের অধিকাংশ ব্যাটারই বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন। পাশাপাশি ৩ ব্যাটার আবার রান-আউট হয়ে যান। অবশেষে ১৯.৩ ওভারে তারা শেষপর্যন্ত অলআউট হয়ে যায়।
Bangladesh Cricket: বাংলাদেশকে 'নাগিন ডান্স' করাল শ্রীলঙ্কা, প্রথম টি-২০'তে শিকার করল টাইগারদের
হেসন বললেন, 'শুরুটা আমরা তুলনামূলক ভাল করেছিলাম। চার-পাঁচটা ভাল শট খেলেছিলেন ফখর জামান। এটাই উইকেটের চরিত্র সম্পর্কে আমাদের একটা ভ্রান্ত ধারণা দিয়েছিল। এরপর দলের মিডল অর্ডার কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটা ভুল সিদ্ধান্তও আমরা গ্রহণ করেছি। উইকেটের অসমান বাউন্সে বড় শট খেলা আমাদের উচিত হয়নি। পাশাপাশি বেশ কয়েকটা রান আউটের মূল্যও চোকাতে হয়েছে।'
তবে হেসনের এই মন্তব্য়ের চূড়ান্ত বিরোধিতা করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তাঁর কথায়, বাংলাদেশ সহজেই ম্য়াচে জয়লাভ করেছে। টাইগারবাহিনী ২৭ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে এই ম্য়াচে জয়লাভ করে। ফলে উইকেট যে খারাপ ছিল, কীভাবে কেউ এমন কথা বলতে পারে।
তিনি বললেন, 'আমার মনে হয় না, এই উইকেট খারাপ ছিল। কারণ, ১৬ ওভারের আগেই ম্য়াচটা আমরা শেষ করতে পেরেছি।' সঙ্গে ইমন আরও যোগ করলেন, 'আমরা যদি এই উইকেটে ২০ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেতাম, তাহলে ১৫০-১৬০ রান করতে পারতাম। আসলে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাই এই উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। ওদের তুলনায় আমরা ভালভাবে মানাতে পেরেছি। ঢাকা উইকেটে বোলাররাই সচরাচর সুবিধা পেয়ে থাকে। আমরা উইকেটের চরিত্র শীঘ্রই বোঝার চেষ্টা করেছিলাম। এটাই আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য ছিল।'