Bangladesh Cricket: কুশল মেন্ডিসের (Kushal Mendis) দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরির দৌলতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল (Sri Lanka Cricket Team) প্রথম টি-২০ ম্য়াচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে পরাস্ত করেছে। দুই দলের মধ্যে এই ম্য়াচটি পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়। এই জয়ের পাশাপাশি তিন ম্য়াচের এই টি-২০ সিরিজে শ্রীলঙ্কা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। মাত্র ২ দিন আগে এই মাঠেই ওয়ানডে ম্য়াচে শতরান করেছিলেন মেন্ডিস। আর এবার তিনি ৫১ বলে ৭৩ রানের একটি আক্রমণাত্মক ইনিংস দলকে উপহার দেন। এই ম্য়াচে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কাকে ১৫৫ রান তাড়া করতে হয়েছে। আর এই রান তাড়ার ক্ষেত্রে কুশল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। এক ওভার বাকি থাকতেই শ্রীলঙ্কা মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে ফেলে এবং সহজেই বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়।
কুশল মেন্ডিস এবং পাথুম নিশঙ্কা (৪২ রান) শ্রীলঙ্কার জয়ের ভিতটা শুরুতেই মজবুত করে দেন। লঙ্কা ব্রিগেডের এই দুই ওপেনিং ব্যাটার প্রথম উইকেটে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। আর সেকারণেই শ্রীলঙ্কা মাত্র ৫ ওভারের মধ্যে ৭৮ রান তুলে ফেলেছিল। এখানেই কার্যত ম্য়াচের ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায়। অন্যদিকে, এই বিধ্বংসী পার্টনারশিপের কারণে বাংলাদেশি বোলাররা রীতিমতো চাপে পড়ে যায়। এই ম্য়াচে ফিরে আসার আর কোনও রাস্তা তারা কার্যত খুঁজে পায়নি।
Bangladesh Cricket Controversy: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বাংলাদেশ ক্রিকেটে, 'কঠিন সিদ্ধান্ত' নিয়েই ফেলল বিসিবি!
ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে জঘন্য পারফরম্য়ান্স বাংলাদেশের
যদি বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে আলোচনা করা যায়, তাহলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক দাসুন শনাকা প্রায় এক বছর পর সাদা বলের ফরম্য়াটে প্রত্যাবর্তন করলেন। শুধুমাত্র প্রত্যাবর্তন বললে একটু ভুল হবে। তিনি কার্যত এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। মাত্র ২২ রান দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তিনি শিকার করেন। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বাংলাদেশের রানের চাকায় তিনি কার্যত লাগাম টেনে ধরেছিলেন। অন্যদিকে, মহেশ থিক্ষণার স্পিন ভেলকিকেও টাইগার ব্যাটাররা কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েন। এই ম্য়াচে থিক্ষণা ৩৭ রান দিয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেছেন। এই দুই বোলারের দুরন্ত পারফরম্য়ান্সের জোরেই বাংলাদেশকে (৫ উইকেট) নির্ধারিত ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কা ১৫৪ রানে আটকে দেয়।
SL vs BAN 3rd ODI: ফের লজ্জার হার বাংলাদেশের, টাইগারদের বিড়াল বানিয়ে সিরিজ জয় শ্রীলঙ্কার
বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটার পারভেজ হুসেন ইমন সর্বাধিক ৩৮ রান করেন। অন্যদিকে, মহম্মদ নঈম ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। যদিও নইমের ব্যাটিং বাংলাদেশের জন্য বড় স্কোর খাড়া করতে পারেনি। শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিসের অভাবনীয় ব্যাটিং শ্রীলঙ্কাকে শেষপর্যন্ত এই ম্য়াচ জেতাতে সাহায্য করে।