২০১৯ বিশ্বকাপে তিন উইকেটকিপার নিয়ে স্কোয়াড সাজিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই নির্বাচনের প্রেক্ষিতে বলতে গিয়ে কয়েক দিন আগেই বিতর্কিত মন্তব্যে রবি শাস্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, দল নির্বাচনে তাঁর কোনও হাত-ই ছিল না। সেই বক্তব্যের পরেই এবার রবি শাস্ত্রীকে পাল্টা দিলেন তৎকালীন নির্বাচক শরণদীপ সিং।
বিষ্ফোরক মন্তব্যে রবি শাস্ত্রী কিছুদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, "স্কোয়াড গঠনে আমার কোনও ভূমিকাই ছিল না। তিন জন উইকেটকিপারকে নেওয়ার কোনও অর্থই নেই। শ্রেয়স আইয়ার অথবা আম্বাতি রায়ডুকে নেওয়া যেত। ধোনি, পন্থ, দীনেশ কার্তিককে একসঙ্গে নেওয়ার পিছনে যুক্তি কী? তবে কখনই নির্বাচকদের কাজে হস্তক্ষেপ করিনি আমি। একমাত্র যদি সাধারণ আলোচনার সময় আমার মতামত জানাতে হত, তখনই নিজের বক্তব্য পেশ করি।"
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব বদলের পরে কোহলি-রোহিতের ঝামেলা কি তুঙ্গে! বিরাট আপডেট বোর্ডের তরফে
এমন বক্তব্যের পরেই পাল্টা দিয়েছেন তৎকালীন নির্বাচক শরণদীপ সিং। তিনি আবার সাফ জানিয়ে দিলেন, ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি এবং কোচ রবি শাস্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া দল গঠন করা হয়নি।
শরণদীপ সিং সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, "তিনজন উইকেটকিপারই ব্যাটসম্যান হিসেবে ভাল। ওয়ার্ল্ড কাপে ঋষভ পন্থ নির্বাচিত হয় শিখর ধাওয়ান চোট পাওয়ায়। তাছাড়া আমাদের ইতিমধ্যেই একজন ওপেনার হিসাবে ছিল কেএল রাহুল।"
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব হারিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কোহলির! প্রোটিয়াজ সফরের ODI-তে নেই তারকা
"তাই আমরা মিডল অর্ডারে এমন একজনকে খুঁজছিলাম যে মিডল অর্ডারে বড় শট নিতে পারে। এই কারণেই পন্থকে নেওয়া হয়েছিল। তবে প্রথম একাদশ বাছাই পুরোপুরি টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। নির্বাচক কমিটি কোনওভাবেই এই কাজে হস্তক্ষেপ করেনা। ঋষভ পন্থের নির্বাচকের ক্ষেত্রে ও কিন্তু দলের ফার্স্ট চয়েস ছিল না।"
শরণদীপ আরও বলেন, "ধোনি-কার্তিক দলে ছিল। সেই সময় ভারতীয় সমস্ত ম্যাচ জিতছিল। আমরা লিগ টেবিলের শীর্ষেও পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে হঠাৎ করেই এমন আলোচনা শুরু হওয়ায় খারাপ লাগছে। কারণ, আমরা নিজেদের কাজ ঠিকঠাকই করছিলাম।"
ভারত সেমিফাইনালে পৌঁছলেও, শেষমেশ নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে ছিটকে যায় ভারত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন