সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে সরকারিভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন ৪৮ ঘন্টা আগে। বোর্ড সভাপতি হিসাবে সৌরভের অপসারণ ঘিরে তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। তৃণমূল যেমন সরাসরি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিয়েছেন বাঙালি অস্মিতার কথা তুলে ধরে।
Advertisment
এমন অবস্থাতেই বোর্ডে প্রাক্তন হয়ে যাওয়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুললেন নতুন প্রেসিডেন্ট রজার বিনি। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে তিনি বলে দিয়েছেন, "সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একজন বিরাট ব্যক্তিত্ব। উনি এমন একজন যিনি ভারতীয় ক্রিকেটের মুখই বদলে দিয়েছেন। উনি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা স্বরূপ। যিনি সকলের কাছে উদাহরণ। সৌরভ রাতারাতি যে কোনও ক্রিকেটারের খেলার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারেন।"
এশিয়া কাপ নিয়েও চলতি বিতর্কে তিনি নিজের মতামত জানিয়েছেন। বলে দিয়েছেন, "এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া বোর্ডের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা কোথায় যাব, তা আমরা বলতে পারি না। আমাদের বিদেশে যেতে হলে অথবা বিদেশি দলের ভারতে ট্যুর করলে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্রের প্রয়োজন। এই বিষয়ে সরকারের মুখাপেক্ষী আমরা।”
ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবার আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বোর্ডের বঞ্চনায় সরব হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় ফিরে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা। বললেন, “সৌরভকে বঞ্চনা করা হল। বিজেপি সরকারের অনেককে অনুরোধ করেছিলাম। ওঁকে পাঠালে দেশের গৌরব বাড়ত। কিন্তু রাজনীতির শিকার হল সৌরভ। কোন অজ্ঞাত কারণে ওঁকে বঞ্চনা করা হল সেটা জানতে চাই।”
মমতা বলেন, “কোন অজানা কারণে, কোন ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির কারণে দেশের একজন অন্যতম ক্রীড়াপ্রেমী মানুষকে বঞ্চনা করা হল। এখানে শচীন থাকলে, আজহার থাকলে তাঁদেরও সমর্থন করতাম। আমরা ক্রিকেটটাকে সারা দেশের সঙ্গে একভাবে দেখেছি। সৌরভ সারা বিশ্বে সমাদৃত। ও ভদ্র ছেলে, তাই মুখে কিছু বলছে না। কিন্তু হয়তো ওঁর মনে খারাপ লেগেছে, আঘাত লেগেছে। কিন্তু এটা আমরা সহজ ভাবে নিচ্ছি না। এটা একটা লজ্জাজনক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, একজনকে সুবিধা দিতে এটা করা হল। একজনকে সুবিধা দিয়ে কেন আরেকজনকে বঞ্চনা করব। আমি বলছি যদি কারও যোগ্যতা থাকে তাহলে সে কেন সুযোগ পাবে না।”
“তিনবছর আরও টার্ম থাকা সত্ত্বেও জয় শাহ বোর্ডে থাকছেন অথচ সৌরভকে সরিয়ে দেওয়া হল। এমনকী আজই আইসিসি-র মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল। সৌরভকে সুযোগটা দেওয়া হল না। এটা অত্যন্ত লজ্জার। এটা একটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।”
সৌরভকে নিয়ে এখনও দাবানল ভারতীয় ক্রিকেট! অবশেষে মহারাজকে নিয়ে মুখ খুললেন নতুন প্রেসিডেন্ট বিনি
সৌরভকে নিয়ে বড়সড় মন্তব্য করলেন বোর্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট রজার বিনি
Follow Us
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে সরকারিভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন ৪৮ ঘন্টা আগে। বোর্ড সভাপতি হিসাবে সৌরভের অপসারণ ঘিরে তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। তৃণমূল যেমন সরাসরি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিয়েছেন বাঙালি অস্মিতার কথা তুলে ধরে।
এমন অবস্থাতেই বোর্ডে প্রাক্তন হয়ে যাওয়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুললেন নতুন প্রেসিডেন্ট রজার বিনি। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে তিনি বলে দিয়েছেন, "সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একজন বিরাট ব্যক্তিত্ব। উনি এমন একজন যিনি ভারতীয় ক্রিকেটের মুখই বদলে দিয়েছেন। উনি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা স্বরূপ। যিনি সকলের কাছে উদাহরণ। সৌরভ রাতারাতি যে কোনও ক্রিকেটারের খেলার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারেন।"
এশিয়া কাপ নিয়েও চলতি বিতর্কে তিনি নিজের মতামত জানিয়েছেন। বলে দিয়েছেন, "এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া বোর্ডের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা কোথায় যাব, তা আমরা বলতে পারি না। আমাদের বিদেশে যেতে হলে অথবা বিদেশি দলের ভারতে ট্যুর করলে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্রের প্রয়োজন। এই বিষয়ে সরকারের মুখাপেক্ষী আমরা।”
আরও পড়ুন: ভারত কি পাকিস্তানে খেলতে যাবে! মুখ খুললেন এবার সৌরভের উত্তরসূরি রজার বিনি
ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবার আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বোর্ডের বঞ্চনায় সরব হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় ফিরে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা। বললেন, “সৌরভকে বঞ্চনা করা হল। বিজেপি সরকারের অনেককে অনুরোধ করেছিলাম। ওঁকে পাঠালে দেশের গৌরব বাড়ত। কিন্তু রাজনীতির শিকার হল সৌরভ। কোন অজ্ঞাত কারণে ওঁকে বঞ্চনা করা হল সেটা জানতে চাই।”
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেটকে ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’, পাকিস্তানকে ধুয়ে মুছে সাফ করলেন মোদির মন্ত্রী
মমতা বলেন, “কোন অজানা কারণে, কোন ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির কারণে দেশের একজন অন্যতম ক্রীড়াপ্রেমী মানুষকে বঞ্চনা করা হল। এখানে শচীন থাকলে, আজহার থাকলে তাঁদেরও সমর্থন করতাম। আমরা ক্রিকেটটাকে সারা দেশের সঙ্গে একভাবে দেখেছি। সৌরভ সারা বিশ্বে সমাদৃত। ও ভদ্র ছেলে, তাই মুখে কিছু বলছে না। কিন্তু হয়তো ওঁর মনে খারাপ লেগেছে, আঘাত লেগেছে। কিন্তু এটা আমরা সহজ ভাবে নিচ্ছি না। এটা একটা লজ্জাজনক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, একজনকে সুবিধা দিতে এটা করা হল। একজনকে সুবিধা দিয়ে কেন আরেকজনকে বঞ্চনা করব। আমি বলছি যদি কারও যোগ্যতা থাকে তাহলে সে কেন সুযোগ পাবে না।”
আরও পড়ুন: পন্থ-হর্ষলই বাদ পাকিস্তান ম্যাচে! হাইভোল্টেজ ম্যাচে কেমন এগারো সাজাচ্ছে ভারত, জানুন
“তিনবছর আরও টার্ম থাকা সত্ত্বেও জয় শাহ বোর্ডে থাকছেন অথচ সৌরভকে সরিয়ে দেওয়া হল। এমনকী আজই আইসিসি-র মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল। সৌরভকে সুযোগটা দেওয়া হল না। এটা অত্যন্ত লজ্জার। এটা একটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।”