শুভমান গিলের পরিবর্ত চেয়ে বোর্ডের কাছে তদ্বির করেছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। চাওয়া হয়েছিল দেবদূত পাডিক্কল অথবা পৃথ্বী শ-কে। তবে এখনও সৌরভরা পরিবর্ত নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি। পাডিক্কল এবং পৃথ্বী শ বর্তমানে দ্বিতীয় সারির জাতীয় দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় রয়েছেন। আর কয়েকদিনের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে নেমে পড়বেন দুজনেই।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় দলের ম্যানেজার গিরিশ ডংরে নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মার কাছে দুজন পরিবর্ত ক্রিকেটারকে পাঠানোর কথা বলেন সরকারি ইমেল পাঠিয়ে। সেই চিঠিতে পরিবর্ত ক্রিকেটারের জন্য দুটো কারণ জানানো হয়-
১) শুভমান গিলের চোটের জন্য দলে ওপেনারের জায়গা খালি।
২) আগামী দু-মাসে নতুন কোনো চোট ঘটলে আপদকালীন ভিত্তিতে পরিবর্ত ক্রিকেটারের প্রয়োজন হবে।
আরো পড়ুন: মায়াঙ্ক-রাহুল-বিহারীতে অনাস্থা! শ্রীলঙ্কা থেকে পৃথ্বীকে উড়িয়ে আনার জোরালো আর্জি টিম ইন্ডিয়ার
তবে সেই চিঠির এখনো জবাব আসেনি। ৪ অগাস্ট ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার পর জাতীয় দল এখন ২০ দিনের ছুটিতে রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই টিম ইন্ডিয়া একত্রিত হবে ডারহামে। তারপর একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলাও হবে। শ্রীলঙ্কা থেকে এখনই পরিবর্ত ক্রিকেটার ইংল্যান্ডে উড়ে এলে অবিশ্যিক কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে তাড়াতাড়িই টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে পারবে।
এমন সময়েই বোর্ডের তরফে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ক্ষুব্ধ ইংল্যান্ডে সফররত ভারতীয় দলের ম্যানেজমেন্ট। টিম ম্যানেজমেন্টের একজন টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, "বিসিসিআই যদি ইংল্যান্ডে পরিবর্ত ক্রিকেটার পাঠাতে না চায়। তাহলে সেটা খোলামেলা জানানো হোক। তাহলে বিরাট সহ গোটা জাতীয় দল বাকিদের নিয়েই পরিকল্পনা সারতে পারবে। যদি পাডিক্কল এবং পৃথ্বী শ-কে পাঠানো নিয়ে আপত্তি থাকে, সেটা বোর্ড পরিষ্কার করে কনফার্ম করুক। তাহলে গোটা পর্বের ইতি ঘটবে।"
আরো পড়ুন: গিলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করিমের! পাল্টা দেওয়ার পথে হাঁটলেন সৌরভরাও
অভিমন্যু ঈশ্বরণকে জাতীয় দলের সঙ্গেই ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল স্ট্যান্ড বাই হিসাবে। তবে শোনা যাচ্ছে, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থাই নেই, তাঁর ওপর। ইংল্যান্ডের শক্তিশালী পেস আক্রমণের সামনে বাংলার তারকাকে পরীক্ষা করার কোনো ইচ্ছাই নেই কোহলিদের।
গোটা পর্বে জড়িত টিম ম্যানেজমেন্টের একজন সরাসরি জানিয়েছেন, "ইংল্যান্ডে জাতীয় দলের সঙ্গে ২৪জনকে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৪ জনই স্ট্যান্ড বাই। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিমন্যুর রেকর্ড নিঃসন্দেহে ভাল। তবে জেমস আন্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, জোফ্রা আর্চারের সামনে কি ওঁকে শুরুতে ফেলা উচিত? কেএল রাহুলকে ওপেনার নয়, মিডল অর্ডারে ভাবা হচ্ছে। তাই গিলের চোটের জন্য যদি পরিবর্ত প্রয়োজন হয় এবং হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে, তাহলে বোর্ডের কাছে ক্রিকেটার চাওয়া কি দোষের?"
সবমিলিয়ে ইংল্যান্ডে বড়সড় ঝামেলাতেই যে জড়িয়ে পড়েছে টিম ইন্ডিয়া, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন