প্রবল অসুস্থ বাবা। কার্যত মৃত্যুশয্যায় বলা চলে। তবে বাবার জীবনের ফিরিয়ে আনতে ইংল্যান্ডের মহাতারকা কেরিয়ারের সমস্ত অর্জন, বিশ্বকাপের একের পর এক দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে টুর্নামেন্ট সেরা কিংবা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি ফেরাতে প্রস্তুত। তিনি শুধু বাবাকে খুশি এবং সুস্থ দেখতে চান।
স্টোকসের বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে জোহানেসবার্গের হাসপাতালে ভর্তি প্রায় একসপ্তাহ ধরে। জাতীয় দলের খেলা ভুলে বাবার সঙ্গেই ছিলেন ইংরেজ তারকা ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছিল বেন স্টোকসের পিতা টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর। তারপরেই প্রাক্তন আন্তর্জাতিক রাগবি তারকাকে ভর্তি করা হয় জোহানেসবার্গের হাসপাতালে। অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক বলেই জানানো হয়েছে।
ক্রিসমাসের আগে জাতীয় দলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল স্টোকসের। প্রথমে দলের অনুশীলনে যোগ না দিয়ে আপাতত বাবার পাশেই ছিলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। পরে অবশ্য জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। স্টোকস অবশ্য এখন কেপটাউনে চলে গিয়েছেন দলের সঙ্গে। যেখানে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট।
ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন স্টোকস (টুইটার)
ইংল্য়ান্ডের দ্য মিরর-এ স্টোকস নিজের কলামে লিখেছেন, "এই বছরে ব্যর্থতার পাশাপাশি অভাবনীয়, সাফল্যও দেখেছি। তবে বছরের শেষে বাবাকে হাসপাতালে দেখাটা কিছুতেই মানতে পারছি না। যদি কেউ আমাকে বলে, ২০১৯ সালের গ্রীষ্মে তুমি যা পেয়েছ, সব ফেরত দাও, তার বদলে তোমার বাবাকে সুস্থ, খুশি এবং হাসিমুখে গ্যালারিতে বসে থাকতে দেখবে, তা হলে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যেতাম।"
স্টোকস যে কতটা বড় ফ্যামিলি-ম্যান তা-ও জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, "যে অবস্থায় বাবা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, তার তুলনায় পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। যদি এই পর্বে কোনও সদ্ব্যর্থক কিছু থাকে, তা হল, আমরা পরিবারের মতো একে অন্যের পাশে ছিলাম। ক্রিসমাসে পরিবারের সঙ্গে সাত বছর কাটাতে পারিনি। তবে এবারে হাসপাতালে হলেও পরিবার একত্রিত হয়েছিলাম।"