Tarok Hembram: সোমবার (৭ জুলাই) এক অনভিপ্রেত ঘটনার সাক্ষী রইল কলকাতা ফুটবল লিগ (CFL 2025-26)। রেলওয়ে এফসি'র (Railway FC) বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ব্যারাকপুরের বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ম্য়াচে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড ২-০ গোলে জয়লাভ করে। কিন্তু এই ম্য়াচে এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে, যা নিয়ে আপাতত কলকাতা ময়দান তোলপাড়।
এই ম্য়াচ চলাকালীন মোহনবাগানের মার্শাল কিস্কুর সঙ্গে কড়া ট্যাকলে জড়ি পড়েন রেলওয়ে এফসি-র ফুটবলার তারক হেমব্রম। চোট পাওয়ার পর তাঁর আর উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না। মাঠে শুয়েই কাতরাতে শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে দৌড়ে আসেন রেলওয়ের ফিজিও। কারণ তাঁদের দলে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। কিন্তু, তিনি গোটা বিষয়টা সামলাতে পারেননি। ডাক পড়ে মোহনবাগান দলের চিকিৎসকের। তিনি তড়িঘড়ি তারকের বাঁ-পায়ে একটি ইঞ্জেকশন দেন এবং দুটো ছাতা দিয়ে পা'টা শক্ত করে বেঁধে দেন। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে তারককে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত তিনি ভর্তি রয়েছেন।
Mohun Bagan Super Giant: ডুরান্ডে হবে না কলকাতা ডার্বি! কবে-কোন দলের বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান?
ইতিমধ্যে ছাতার বেঁধে চিকিৎসার ছবিটা সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ছিছিক্কার করেন অধিকাংশ লোকই। প্রশ্ন তোলা হয়, কেন একটি টুর্নামেন্টে চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকবে না। এবার এই বিতর্কেই কার্যত ঘৃতাহুতি করলেন তারক হেমব্রম নিজে।
Mohun Bagan Super Giant: এই ৪ শর্ত মানতে হবে, তবেই খেলবে ডুরান্ডে? নয়া নাটক মোহনবাগানের
কী বললেন তারক হেমব্রম?
সোমবার রাত থেকে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করেছে। হাসপাতালের বিছানায় বসে তারক বললেন, 'আগের থেকে আমি এখন অনেকটাই সুস্থ আছি। আগামীকাল MRI হবে। সেই রিপোর্ট দেখার পরই জানা যাবে, চোট কতটা গুরুতর হয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমার পাশে যাঁরা দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি যিনি ছাতাটা বেঁধে দিয়েছেন, তাঁকেও অনেক ধন্যবাদ। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছাতাটা যিনিই বেঁধে থাকুন না কেন, খুবই ভাল কাজ করেছেন।' আশা করা যায়, এই মন্তব্যের পর হয়ত সমালোচকদের মুখ কিছুটা হলেও বন্ধ হবে।
দেখে নিন ভিডিও:
Mohun Bagan Super Giant: কলকাতা লিগে টানা দ্বিতীয় জয় মোহনবাগানের, রেলকে বেলাইন করলেন সন্দীপ-শিবমরা
ছাতা বেঁধে দেওয়া অবশ্যই কোনও অপরাধ নয়। কিন্তু, অনেকে মনে করছেন, কলকাতা ফুটবল লিগের মতো একটি স্বনামধন্য ফুটবল টুর্নামেন্টে আধুনিক কোনও সাপোর্ট সিস্টেম না থাকাটা অবশ্যই অপরাধের। আর সেকারণেই বাংলার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা IFA-কে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই ম্য়াচ চলাকালীন IFA-র কোনও চিকিৎসকও নাকি মাঠে উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি, মাঠে যে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে ছিল, সেটা নাকি কলকাতা পর্যন্ত আসতে চায়নি। বেশ খানিকক্ষণ সময় কেটে যাওয়ার পর অপর একটি অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে তারককে কলকাতায় আনা হয়েছে। কেন এই গাফিলতি? কে এই গাফিলতির দায় নেবে? সেই উত্তর অবশ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।