অস্ট্রেলিয়া: ২৬৩/১০, ১১৩/১০
ভারত: ২৬২/১০, ১১৮/৪
নাগপুর টেস্ট খতম হয়েছিল তিনদিনের মধ্যে। দিল্লি টেস্টেও কোনও বদল হল না। আড়াই দিনে ভারতের সামনে ধসে গেল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিন প্রথম সেশনেই অস্ট্রেলীয়রা দ্বিতীয় ইনিংসে শুইয়ে পড়েছিল মাত্র ১১৩ রান। জবাবে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১১৫ রান। ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত সিরিজে ২-০ করল অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে। প্রথম টেস্টে ইনিংসে হার হজম করতে হয়েছিল। দিল্লি টেস্টে ভারতকে দুই ইনিংসেই ব্যাট করে জয় পেতে হল। এটুকুই যা সান্ত্বনা অজিদের।
১১৫ রান তাড়া করতে নেমে লাঞ্চের আগেই ভারত রাহুলের উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪ তুলে ফেলেছিল। লাঞ্চের পর ভারত ৯ উইকেট হাতে নিয়ে রান চেজ করতে নেমেছিল। সামান্য টার্গেট দ্রুত তোলার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলেন রোহিত। অজি স্পিনারদের ইচ্ছামত ওড়াচ্ছিলেন। ২০ বলে ৩১ তুলে টি২০ মেজাজেই ব্যাট করছিলেন ক্যাপ্টেন। তবে চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান।
আরও পড়ুন: আর কবে রান করবেন রাহুল! তারকা ব্যাটসম্যানকে ধুয়ে দিলেন গাভাসকার থেকে মঞ্জরেকর
বিরাট কোহলি শুরুটা খারাপ করেননি। পজিটিভ ভঙ্গিতে খেলছিলেন। তবে ফেলে একবার চলতি সিরিজে অভিষেককারী টড মার্ফির বলে ফিরতে হয় তাঁকে। কেরিয়ারে এই প্ৰথমবার স্ট্যাম্প আউটের শিকার হন তিনি। কোহলি (২০) আউট হওয়ার পর শ্রেয়স আইয়ার নেমে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পরপর উইকেট হারানোর চাপ হালকা করে দেন। তবে লিয়নের বলে ডিপে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন আইয়ার। এরপরে শ্রীকর ভরতের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে দেন পূজারা (৩১)।
তার আগে দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া এক উইকেট হারিয়ে খেলতে নেমেছিল। তবে তৃতীয় দিনের সকালেই সেই চেনা দৃশ্য। স্রেফ একটা সেশনেই অজিদের মাটিতে আছড়ে ফেলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণি। মাত্র ১১৩ রানে শেষ হয়ে যায় প্যাট কামিন্সের দল।
গতকাল খোয়াজা আউট হয়ে যাওয়ার পর এদিন সকালে ভালোই টানছিলেন হেড এবং মার্নাস লাবুশানে। তবে ট্র্যাভিস হেডকে ফিরিয়ে প্ৰথম আউটের বন্যার সূচনা করে দেন অশ্বিন। তারপর আয়ারাম গয়ারাম। অস্ট্রেলিয়া শেষ ৭ উইকেট হারায় মাত্র ১৮ রানে। ট্র্যাভিস হেড (৪৩), লাবুশানে (৩৫) বাদে কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বল প্ৰথমে ব্যাটে না প্যাডে! বিতর্কিত আউট হয়ে সাজঘরে ‘তুলকালাম’ কোহলির, দেখুন ভিডিও
পাঁচ মাস পরে নাগপুর টেস্টে প্রত্যাবর্তন করেই ম্যাজিক দেখিয়েছিলেন জাদেজা। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন। দিল্লি টেস্টেও সেই জাদেজার সামনে নতজানু হল ক্যাঙারুরা। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে আরও বিধ্বংসী বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। ৭ উইকেট নিলেন মাত্র ১২.১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪২ রানের বিনিময়ে। সবমিলিয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট হয়ে গেল জাদেজার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এটাই জাদেজার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স।
প্ৰথম ইনিংসে উসমান খোয়াজা, পিটার হ্যান্ডসকম্বের ব্যাটে ভর করে ২৬৩ তুলেছিল। ভারত শক্তিশালী লোয়ার অর্ডারে ভর করে ২৬২ তোলে।