গোলাপি বলে দৃশ্যমানতার সমস্যা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। এই ইস্যুতে সঞ্জয় মঞ্জরেকরের সঙ্গে তো ঝামেলাই বেঁধে গিয়েছে হর্ষ ভোগলের। অনেক বিশেষজ্ঞই আবার গোলাপি বলের টেকনিক্যাল কিছু উন্নতি করার কথা বলেছেন। এমন অবস্থাতেই পূজারা জানিয়ে দিলেন, গোলাপি বলে দৃশ্য়মানতার সমস্যা রয়েছে। ইন্ডিয়াবন এক্সপ্রেসের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে পূজারা জানিয়ে দেন, গোলাপি বলের ধাতস্থ হওয়ার জন্য অতিরিক্ত মনোসংযোগের প্রয়োজন হয়।
ইডেনে একমাত্র ইনিংসে পূজারা ৫৫ করেছিলেন। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানাচ্ছেন, "ধাতস্থ হওয়ার জন্য অতিরিক্ত মনোসংযোগ যেমন প্রয়োজন হয়, তেমনই ক্রিজে টিকে থাকা প্রয়োজন। লাল বলে দিনের বেলায় দৃশ্যমানতার কোনও সমস্যা হয়না। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে ফ্লাডলাইটে খেলায় পিঙ্ক বলে সমস্যা হতে পারে। ড্রেসিংরমে বসে থেকে হঠাৎ ব্যাট করতে নামাটা সমস্যাজনক।"
এর পাশাপাশি পূজারা আরও বলেছেন, "আমি মোটেই বল দেরিতে পিক করছিলাম না। সেই পরিস্থিতিতে আমি মাত্র একটা ইনিংসে খেলেছিলাম। আরও কয়েকটা ইনিংস খেলার পরে সম্ভবত এই বিষয়ে মন্তব্য় করতে পারব। ফ্লাডলাইটে শিশির পড়ার ৩০-৪৫ মিনিট ধরে ব্য়াট করছিলাম। শিশির পড়ার পরে বলের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যায়। কলকাতায় একটু আগেই সন্ধে নামে। বছরের এই সময় আবহাওয়া একটু আলাদা থাকে। পাশাপাশি আবহাওয়াতেও অস্পষ্টভাব থাকে। এটাও বলের দৃশ্যমানতায় প্রভাব ফেলেছে।"
এর আগে গোলাপি বলের টেস্ট খেলতে নামার আগেই বলের দৃশ্য়মানতা নিয়েই বিসিসিআই টিভিতে মুখ খুলেছিলেন জাতীয় দলের তারকা। ঘরোয়া ক্রিকেটে আগেই পিঙ্ক বলে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। সেই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "দলীপ ট্রফিতে গোলাপি বলে খেলেছি। অভিজ্ঞতা বেশ ভাল। গোলাপি বলে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। দিনের বেলা গোলাপি বল দেখতে সমস্য়া হয় না। কিন্তু সন্ধ্য়ালোকে আর ফ্লাডলাইটে বলটা দেখতে সমস্য়া হয়। ওই সময়টাই গুরুত্বপূর্ণ।”
Read the full article in ENGLISH