টেস্টে তিনি নেই বহুদিন হল। খেলছিলেন কেবলমাত্র সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই। সেই একদিনের ক্রিকেটেও কী যবনিকাপাত হল বুধবার? তা নিয়ে ম্যাচের পরেও জল্পনা অব্যাহত। ভারতের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হয়তো শেষবার খেলতে নেমেছিলেন। দেশকে জেতাতে না পারলেও শেষ ইনিংসে ক্রিস হেনরি গেইলের ব্যাট থেকে বেরোলো ৪১ বলে ৭২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ঝড় তুলেই সম্ভবত ব্যাট তুলে রাখছেন তিনি। ৩০১ তম ওয়ান ডে ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। তাই পিঠের জার্সির নম্বরেও তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ৩০১। এভিন লুইসের সঙ্গে ওপেনিং করতে নেমে ১১৪ রানের গোড়াপত্তনও করে দিলেন তিনি। ১০ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তুলে দিয়েছিলেন এই রান। ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ১০ ওভারেই এটাই তৃতীয় সর্বোচ্চ।
খলিল আহমেদের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার আগে ত্রিনিদাদের পোর্ট অফ স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভাল কেবলই গেইল-ময়। পাঁচটা সুবিশাল ছক্কা, এবং আটটা বাউন্ডারির সৌজন্যেই এল ৪১ বলে ৭২। স্ট্রাইক রেট ১৭৫.৬১।
আরও পড়ুন
গেইল আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার সময়েই ভারতীয় ক্রিকেটাররা শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন। স্ট্যান্ডিং ওভেশান দেন দেশের সতীর্থ ক্রিকেটাররাও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে শেষ হল একটা অধ্যায়ের। জাতীয় দলের জার্সিতে ভেঙেছেন একাধিক রেকর্ড। সেই রেকর্ড ভাঙার ট্র্যাডিশন অক্ষুণ্ণ থাকল শেষ দিনেও। জাতীয় দলের জার্সিতে গেইলই আপাতত সবথেকে বেশি একদিনের ম্যাচে অংশ নেওয়া ক্রিকেটার। ব্রায়ান লারা ২৯৯টি ম্যাচ খেলেছিলেন। গেইল সেই সংখ্যা টপকে গিয়েছিলেন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই। শেষ ম্যাচটি ছিল তাঁর ৩০১তম ওডিআই।
একঝলকে দেখে নেওয়া যাক একদিনের ক্রিকেটে গেইলের কীর্তি-
সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলা (৩০১টি)।
সবথেকে বেশি রান (১০৪৮০)।
সবথেকে বেশি সেঞ্চুরি (২৫টি)।
সবথেকে বেশিবার ওভার বাউন্ডারি হাকানো (৩৩১টি)।
সর্বাধিক বাউন্ডারি (১১২৮টি)।
সবথেকে বেশি ক্যাচ (১২৪টি)।
হাইয়েস্ট স্কোর (২১৫)।
Read the full article in ENGLISH