ক্লাইম্যাক্স পৌঁছেছে একদম শেষ লগ্নে। ইস্টবেঙ্গল বনাম শ্রী সিমেন্টের দ্বৈরথে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে এসেছে রিল্যায়েন্সও। প্রতি দিন যতই পেরিয়ে যাচ্ছে। ততই উৎকণ্ঠা আরো প্রকট হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে।
২৩ তারিখেই প্রাক্তন ফুটবলারদের ডাকা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। সেখানে চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গেই থাকতে পারেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, গৌতম সরকার, সুভাষ ভৌমিকরা। টার্মশিট এবং মূল চুক্তিপত্রের পার্থক্য খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
আরো পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে হিট, এটিকেতে ফ্লপ ওয়েস্টউড ফের একবার ভারতে! তারকাখচিত দলের দায়িত্বে
ইতিমধ্যেই চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, মূল চুক্তিপত্রের সঙ্গে টার্মশিটের একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। কোনোভাবেই সই করা উচিত হবে না।
এদিকে, সোমবারই নবান্নে ক্যাবিনেট মিটিং ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকেই নজর দেশের ফুটবল মহলের। উচ্চশিক্ষা সহ একাধিক বিষয়ের সঙ্গেই ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আলোচনা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রী সময় দিলে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলাররা চুক্তিপত্র দেখে সরাসরি হাজির হতে পারেন নবান্নে। সেই সম্ভাব্য মিটিংয়েই আপাতত নজর ময়দানি ফুটবলের। নবান্নেই কি মিটতে চলেছে যাবতীয় সংঘাত, সময়ই বলবে।
আরো পড়ুন: হাবাসের ISL চ্যাম্পিয়নকে তুলে ঝটকা বেঙ্গালুরুর! চার মরশুম পর কলকাতা ছাড়লেন তারকা
জানা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গল এবং শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছেন রিল্যায়েন্সের তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিও রয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এক্সিট ক্লজ এবং মেম্বার্স রাইটস নিয়ে পয়েন্টস সংশোধন করলেই চুক্তিপত্র সই করে দেওয়া হতে পারে। যদিও শ্রী সিমেন্টের দাবি মূল চুক্তিপত্রের সঙ্গে টার্মশিটের কোনো পার্থক্যই নেই।
তবে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে বলে খবর। খুব দ্রুতই জট ছাড়িয়ে মীমাংসা হয়ে যেতে পারে এই মাসেই। না হলে? ইস্টবেঙ্গলের দাবি বিকল্প পদ্ধতিও তৈরি। এই মরশুমেই আইএসএল খেলবে ইস্টবেঙ্গল।
অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, শ্রী সিমেন্টও দল গঠন এগিয়ে রাখছে। কলকাতা লিগ খেলার জন্য ছয় জন বিদেশি বাছাইও করা রয়েছে। যদিও ইন্ডিয়ান ফুটবলারদের পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। তবে তাঁদের বক্তব্য একটাই, "আগে সই হোক, তারপর দল নামানোর দায়িত্ব আমাদের!"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন