Advertisment

টোকিও অলিম্পিক্স নির্দিষ্ট সময়েই হবে, আশাবাদী আইওসি

এদিকে মঙ্গলবার জাপানের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, জাপানের অলিম্পিক কমিটির এক ভাইস-প্রেসিডেন্টের দেহে মিলেছে COVID-19

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tokyo olympics 2020

প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের দাপটে বর্তমানে টালমাটাল ক্রীড়াবিশ্ব। ফুটবল হোক বা ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন হোক বা টেনিস, বিশ্ব জুড়ে স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক নামিদামি টুর্নামেন্ট। এই অবস্থায় আশঙ্কার মেঘ ঘনাতে শুরু করেছে আগামি ২৪ জুলাই থেকে অনুষ্ঠেয় টোকিও অলিম্পিক্স ঘিরেও। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়েই অলিম্পিক আয়োজন করার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।

Advertisment

এক বিবৃতিতে আইওসি জানিয়েছে, ২৪ জুলাই থেকে ৯ আগস্টের নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী অলিম্পিক আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েই আপাতত তারা এগোচ্ছে। কোন "চরম সিদ্ধান্ত" এখনই নেওয়া হচ্ছে না।

বিবৃতিতে আইওসি আরও বলেছে, "অলিম্পিকের এখনও চার মাস বাকি। নির্দিষ্ট সময়েই অলিম্পিক হবে, এই ভেবেই আমরা এগোচ্ছি। এখন থেকেই অতিরিক্ত জল্পনার কোনও প্রয়োজন নেই। কোনও চরম সিদ্ধান্তও আমরা এই মূহুর্তে নিচ্ছি না। অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারীদের সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিতে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি।"

গত সপ্তাহে গ্রীসে সময়সূচী মেনেই আয়োজিত হয় অলিম্পিকের মশাল প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান, যখন পশ্চিম ইউরোপে বহাল হতে শুরু করেছে অচলাবস্থা। কিন্তু মশাল জ্বালানোর একদিন পরেই বড় রকম জনসমাগমের আশঙ্কায় মশাল নিয়ে কয়েক শতাব্দীর প্রথা মেনে 'রিলে রেস' বাতিল করে দেয় গ্রীস।

আরও পড়ুন: করোনা-কাঁপুনি: এক বছর পিছিয়ে গেল কোপা আমেরিকা

টোকিয়ো অলিম্পিক উদ্যোক্তা কমিটি অলিম্পিক্স স্থগিত রাখার সম্ভাবনা পর্যন্ত বিবেচনা করতে অনিচ্ছুক, অন্তত প্রকাশ্যে। জাপানের অলিম্পিক মন্ত্রী সেইকো হাশিমোতো বলেছেন, অলিম্পিক্স পিছিয়ে দেওয়া "অসম্ভব"। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, গ্রুপ অফ সেভেন গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির কাছ থেকে তিনি অনুমোদন পেয়েছেন "পূর্ণাঙ্গ" অলিম্পিক্সের আয়োজন করার।

এদিকে মঙ্গলবার জাপানের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, জাপানের অলিম্পিক কমিটির এক ভাইস-প্রেসিডেন্টের দেহে মিলেছে COVID-19।

আইওসি অবশ্য মেনে নিয়েছে, COVID-19'এর প্রার্দুভাবের জন্য অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্ব বেশ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। অলিম্পিকে অংশ নেবেন প্রায় ১১ হাজার অ্যাথলিট। যাঁদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ ইতিমধ্যেই যোগ্যতা অর্জন করেছেন। সমস্যা দেখা দিচ্ছে বাকি ৪৩ শতাংশ নিয়ে। আইওসি-র বক্তব্য, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে এই ৪৩ শতাংশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। অতীতের র‍্যাঙ্কিং এবং পারফরম্যান্স বিচার করে যোগ্যতামান নির্ধারণেরও সম্ভাবনা রয়েছে।

আশাবাদী বিবৃতিতে আইওসি জানিয়েছে, "আমাদের বিশ্বাস, বিশ্বজুড়ে করোনা-সংক্রমণ প্রতিরোধে যে নানাবিধ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা ফলপ্রসূ হবে এবং করোনার দাপট নিয়ন্ত্রনে আসবে।"

Read the full story in English

Advertisment