Mohun Bagan Super Giants: ২০২৫ সুপার কাপ (Kalinga Super Cup 2025) থেকে ইতিমধ্যে বিদায় নিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এই টুর্নামেন্টে বাগানের রক্ষণ নিয়ে বরাবরই একটি আশঙ্কা ছিল। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্য়াচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয়লাভ করলেও, বাগানের ডিফেন্স নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু, এফসি গোয়ার (FC Goa) বিরুদ্ধে সেই রক্ষণের ভুলই বিদায়ের কারণ হয়ে দাঁড়াল। ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান গোলরক্ষক ধীরজ সিং এমন দুটো ভুল করে বসলেন, যে ভুলের কোনও ক্ষমা হয় না। আর সেই সুযোগেই গোয়া ৩-১ গোলে জয়লাভ করল।
এই ম্য়াচের প্রথমার্ধে দুটো দলই একটি করে গোল করেছিল। ২০ মিনিটে ব্রাইসন ফার্নান্ডেজের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল এফসি গোয়া। কিন্তু, ম্যাচের ২৫ মিনিটে বাগানের হয়ে সমতা ফিরিয়ে আনেন সুহেল আহমেদ ভাট। আশা করা হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে দুটো দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তো দুরের কথা, ধীরজের জোড়া ভুলে কার্যত নাকানিচোবানি খেল বাগান ব্রিগেড।
Tutu Bose Mohun Bagan: 'চেয়ার কিংবা পদের অপব্যবহার...', ইস্তফা দিয়েই 'বিস্ফোরণ' টুটু বসুর
ম্য়াচের ৫১ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি হাসিল করে এফসি গোয়া। দুর-দুরান্ত পর্যন্ত এই গোল হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। উইং ধরে বলটা নিয়ে উঠছিলেন গোয়ার সার্বিয়ান ফুটবলার দেজাঁ দ্রেজিক। ইতিমধ্যে, ধীরজ নিজের গোলপোস্ট ছেড়ে আড়াআড়ি বেরিয়ে আসেন। বল দখলের লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত স্লাইড করেন বাগানের এই গোলরক্ষক। চেয়েছিলেন কোনওমতে বলটা বের করে দিতে। কিন্তু, এখানেই ভুল করে বসেন তিনি। ট্যাকলের কারণে গোয়া পেনাল্টি পেয়ে যায়। তারপর আর কোনও ভুল করেননি গুরোটজেনা। এগিয়ে যায় গৌড়বাহিনী।
Mohun Bagan Super Giant: ইস্টবেঙ্গল নয়, মোহনবাগানে আসছেন রবসন? জোর গুঞ্জন ময়দানে
এই ধাক্কা হজম করতে না করতেই গোয়ার হয়ে তৃতীয় গোলটা করলেন বোরহা হেরেরা। এবারও ভুলটা ধীরজেরই ছিল। তিনি হেরেরার শটটা মিস-জাজ করে ফেলেন। কর্নার থেকে গোয়ার এই মিডফিল্ডার বাঁ পায়ে একটি নিখুঁত শট নিয়েছিলেন। শটটা সকলের মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ধীরজ লাফ দিলেও তিনি বলের নাগাল পাননি। শেষপর্যন্ত বলটা দ্বিতীয় পোস্টে ধাক্কা খেয়ে মোহনবাগানের জালে জড়িয়ে যায়।
MBSG vs FCG Super Cup: স্বপ্নভঙ্গ মোহনবাগানের ইয়ং ব্রিগেডের, গোয়ার কাছে হেরে সুপার কাপ থেকে বিদায়
দেখে নিন ভিডিও:
এই গোলের পরই মোহনবাগান সমর্থকরা কার্যত ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, ওই জায়গায় ধীরজের দাঁড়ানো একেবারে উচিত হয়নি। বলটা যে কত উচ্চতায় আসছে, সেটাই বুঝতে পারেননি তিনি। সঠিক সময়ে যদি তিনি লাফ দিতে পারতেন, তাহলে অবশ্যই বলটা আটকানো সম্ভব হত। কিন্তু, এখন আর এইসব ভেবে লাভ নেই। চলতি সুপার কাপ থেকে মোহনবাগানকে শেষপর্যন্ত বিদায় নিতে হল। অধরা রয়ে গেল ত্রিমুকুটের স্বপ্ন।