আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ বছর অনুপস্থিত ছিলেন। শেষমেশ, সেই অনুপস্থিতির মেয়াদ আর না বাড়িয়ে সরকারিভাবে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন দীনেশ মোঙ্গিয়া, মঙ্গলবারেই। ২০০৩ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন যে দল রানার্স হয়েছিল, সেই স্কোয়াডের অন্যতম মুখ ছিলেন মোঙ্গিয়া। ২০০৭ সালে বিদ্রোহী লিগে অংশ নেওয়ার পরে বোর্ডের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের উপরে। শেষবার ২০০৭ সালে পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছিলেন তিনি।
পাঞ্জাবের হয়ে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ১৯৯৫ সালে ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন মোঙ্গিয়া। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের থেকেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মোঙ্গিয়ার সাফল্য রীতিমতো চোখ ধাঁধানো। ঘরোয়া ক্রিকেটে ১২১টি ম্যাচ খেলে ৮০২৮ রান করেছেন। শতরানের সংখ্যা ২১টি। ২০০০-২০০১ ক্রিকেট মরশুমে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সেই জন্যই ডাক পেয়েছিলেন জাতীয় দলে।
আরও পড়ুন বাংলাদেশ ম্যাচের পরেই টেস্ট থেকে অবসর মহম্মদ নবির
২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটে তাঁর। তবে মাত্র ২ রান করে রান আউট হয়ে গিয়েছিলেন। এরপরে জাতীয় দলের জার্সিতে ৫৭টি ওয়ান ডে ম্যাচে অংশ নিয়ে তাঁর রানসংখ্যা ১২৩০ রান। গড় ২৭.৯৫। ৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে মোঙ্গিয়ার নামের পাশে মাত্র ১টি শতরান। ২০০২ সালে গুয়াহাটিতে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে শতরান করেছিলেন তিনি। তাঁর ১৫৯ রানে ভর করে জিম্বাবোয়েকে ভারত হারায় ১০১ রানে।
আরও পড়ুন আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসর মিতালি রাজের
আরও পড়ুন ৮৫ বছর বয়সে অবসর ক্যারিবিয়ান পেসার সিসিল রাইটের
ওয়ান ডে-র পাশাপাশি জাতীয় দলের জার্সিতে তিনি কোনও টেস্ট না খেললেও একটি মাত্র টি২০ ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্গাশায়ার এবং লেস্টারশায়ারের হয়েও দেখা গিয়েছে তাঁকে। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে খেলে বোর্ডের তরফে নির্বাসিত হওয়ার পরে ক্রিকেট থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। গত মরশুমে পাঞ্জাব ক্রিকেটে রাজ্য নির্বাচক হয়েছেন তিনি।
Read the full article in ENGLISH