/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/06/MMP9RAJNNzuMoXR3bsNT.jpg)
ইস্টবেঙ্গলের দুর্দশার কারণ বিশ্লেষণ করলেন মেহতাব হোসেন
Mehtab Hossain East Bengal: একটা সময় কলকাতা ময়দানে যথেষ্ট রমরমা ছিল। বাংলার ফুটবল বলতেই দুটো ক্লাব বোঝাত। একটা মোহনবাগান, আর অন্যটা ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নাম লেখানোর পর থেকেই লাল-হলুদ ব্রিগেডে চরম দুরবস্থা শুরু হয়েছে। বাংলার এই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবটি এখনও পর্যন্ত একবারও ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্লে-অফে পর্যন্ত উঠতে পারেনি।
তবে সাম্প্রতিককালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পারফরম্য়ান্স একেবারে চোখে দেখা যাচ্ছে না। বছর দুয়েক আগে ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ঘোষণা করেছিলেন যে ইস্টবেঙ্গল নাকি শীঘ্রই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের খেতাব জয় করবে। কিন্তু, ঘোষণাই সার! খেতাব জয় তো দুরের কথা, ২০২৪-২৫ ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তারা ৯ নম্বরে অভিযান শেষ করেছে। এমনকী, সুপার কাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই নিয়েছে বিদায়! কিন্তু, কেন এতটা খারাপ অবস্থা হল এই ক্লাবটার? এই ব্যাপারেই মুখ খুললেন দলের প্রাক্তন মিডিও জেনারেল মেহতাব হোসেন।
সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের একটি অনুষ্ঠানে এসে মেহতাব হোসেন বললেন, 'একটা টিম যখন ব্রেক হয়, তখন বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ইস্টবেঙ্গলের অবস্থাও এখন তেমনই হয়েছে।'
East Bengal FC: ভূস্বর্গে নারকীয় হত্যাকাণ্ড, জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদে কী বলল ইস্টবেঙ্গল?
এই প্রসঙ্গে তিনি বার্সেলোনার উদাহরণ টেনে আনলেন। মেহতাব বললেন, 'কয়েকবছর আগে বার্সেলোনারও একই অবস্থা হয়েছিল। মেসি, ইনিয়েস্তা, জাভি যখন একের পর এক ছেড়ে দিল, তখনও দলটা ব্রেক হয়েছিল। কিছুতেই সেট হতে পারছিল না। একই কথা বলা যেতে পারে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড দলের ক্ষেত্রেও। অ্যালেক্স ফার্গুসনের যে দলটা ছিল, সেটা ভেঙে যাওয়ার পর দলটা কিন্তু আর সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখতে পায়নি। ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এই ফাঁকটাই কিন্তু ভরাট হচ্ছে না। যেদিন এই ব্যবধান মিটে যাবে, ডেভেলপমেন্ট লিগ থেকে নতুন ফুটবলার উঠে আসবে, সেদিন দলটা আবারও সাফল্য়ের সরণীতে ফিরে আসবে।'
Mike Okoro: ইস্টবেঙ্গলের আসিয়ান জয়ের নায়ক, ডাক পাননি দলের শতবর্ষে, কোথায় গেলেন মাইক ওকোরো?
মোহনবাগানের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় নারাজ মেহতাব
যদিও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সাফল্যের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল এফসি-র ব্যর্থতার মধ্যে তুলনা টানতে একেবারে নারাজ তিনি। মেহতাবের কথায়, 'মোহনবাগান একেবারে সেট হয়ে যাওয়া একটা দল। দীর্ঘ বছর ধরে এরা একসঙ্গে খেলছে। দলটা কিন্তু সেই অর্থে একেবারেই ভাঙেনি। গত ৩-৪ বছর ধরে সেই লিস্টনই খেলছে। সেই মনবীরকেই রেখে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ওরা দু'একজন বিদেশি ফুটবলার পরিবর্তন করছে। সেট হয়ে যাওয়া দল যতক্ষণ ধরে রাখা সম্ভব হবে, ততদিন কিন্তু সাফল্য হাতেনাতে পাওয়া যাবে। এটাই বাস্তব।'
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, আগামী ১০ এবং ১১ মে জ্যাভারিয়ান সকার লিগের দ্বিতীয় মরশুম আয়োজন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৬ মে) এই মর্মে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই টুর্নামেন্টে মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করছে। শার্প শুটার, ক্রেডো অ্যাক্সেলারেট, জ্যাভারিয়ান টাইগার্স, বিটিএল ব্লাস্টার্স, লেভিটাস, ডিজিটাল স্ট্রাইকার্স, ওয়ারিয়র্স এবং এলওডি লায়ন্স।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/06/IDmiCzSbYl9qmsDCtqz5.jpg)
প্রত্যেকটা দলের হয়েই খেলবেন এক একজন মার্কি প্লেয়ার। এই তালিকায় নাম রয়েছে রহিম নবি (শার্প শুটার্স), মেহতাব হোসেন (ক্রেডো অ্যাক্সেলারেট), অসীম বিশ্বাস (জ্যাভারিয়ান টাইগার্স), মহম্মদ রফিক (বিটিএল ব্লাস্টার্স), দীপক মন্ডল (লেভিটাস), ডেনসন দেবদাস (ডিজিটাল স্ট্রাইকার্স), দীপঙ্কর রায় (ওয়ারিয়র্স) এবং অ্যালভিটো ডি কুনহার (এলওডি লায়ন্স)। আশা করা যায়, প্রত্যেকটা দলই এই টুর্নামেন্টে ভাল পারফরম্য়ান্স করতে পারবে।