Advertisment

ডুরান্ডের শুরুতেই হিট চামোরো! কিবুর বাগানে শুরুর দিনেই বসন্ত

ডুরান্ডের মতো শতাব্দীপ্রাচীন টুর্নামেন্ট। তার উপরে উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি দুই প্রধান। মিনি ডার্বিকে নিয়ে উত্তেজনার রেশ ছড়িয়ে পড়েছিল ময়দানি ফুটবলে। তার আঁচ এসে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতেও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Salva Chamorro

মোহনবাগানের জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই সফল সালভা চামারো (ফেসবুক)

মোহনবাগানঃ ২ মহামেডানঃ ০

Advertisment

(সালভা চামারো)

কথা রাখলেন সালভা চামোরো। বার্সেলোনা-র বি দলে খেলে আসা স্ট্রাইকার শহরে পা রেখে বাগান সমর্থকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্লাবকে সাফল্য এনে দিতে বদ্ধপরিকর তিনি। আর প্রথম ম্যাচেই প্রমাণ করলেন স্প্যানিশ তারকা। সালভা চামোরোর গোলেই মোহনবাগান ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে জোড়া গোলে হারাল মহামেডানকে।

ডুরান্ডের মতো শতাব্দীপ্রাচীন টুর্নামেন্ট। তার উপরে উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি দুই প্রধান। মিনি ডার্বিকে নিয়ে উত্তেজনার রেশ ছড়িয়ে পড়েছিল ময়দানি ফুটবলে। তার আঁচ এসে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতেও। ফুটবলপ্রেমী সমর্থকদের সেই উত্তেজনা কেমন হতে পারে, তা অবশ্য হাড়ে হাড়ে টের পেলেন স্ট্রিমিংয়ের দায়িত্বে থাকা অ্যাপসের কর্তারা। কোনও টিভি চ্যানেলে নয়, একটি অ্যাপ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের প্ল্যাটফর্মে ডুরান্ডের ম্যাচ দেখানো। তবে শুরুতেই ডাঁহা ফেল তারা।

আরও পড়ুন লজ্জা! গোষ্ঠ পালের অমূল্য পদক ‘হারিয়েছে’ মোহনবাগান!

ইস্টবেঙ্গলের পরে এবার মোহনবাগান! সৌরভকে সম্মানের ডালি উপুড় করল সবুজ-মেরুন

ইস্টবেঙ্গলের পালটা এবার মোহনবাগানের! নামি স্পনসর এবার সবুজ মেরুনে

তাদের প্ল্যাটফর্মে ফুটবল প্রেমী সমর্থকরা ভিড় বাড়াতেই ক্র্যাশ করে গেল অ্যাপসের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। যাইহোক, স্ট্রিমিং বন্ধ থাকলেও মাঠ মাতিয়ে গেলেন তিরিশ পেরোনো বাগান স্ট্রাইকার। ম্যাচের প্রায় শুরুতেই ২ মিনিটের মাথায় গোল চামোরোর। শুরুতেই ফ্রিকিক পেয়েছিল মোহনবাগান। বেইতার ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়ে মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোল সালভার। সেই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ২২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল সেই সালভার। আশুতোষ মেহতার ডানপ্রান্তিক ক্রশ হেডে গোল করেন তিনি।

mamata banerjee in durand cup opening match ডুরান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচে যুবভারতীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (এক্সপ্রেস ফোটো, পার্থ পাল)

এরপর প্রথমার্ধে গোল না পেলেও একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিল মোহনবাগানের ফুটবলার। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের দাপট বজায় রাখতে পারেনি সবুজ মেরুন ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধে তিনটে পরিবর্তন ঘটিয়েছিলেন কোচ কিবু। মোরান্তে এবং নওরেমকে বসিয়ে যথাক্রমে নিয়ে আসেন মুনোজ এবং ইমরান খানকে। শেষ দিকে সাহিলের বদলে নামানো হয় শেখ ফৈয়াজকে।

বিরতির পরে মহামেডান বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল। যদিও তা কাজে লাগাতে পারেনি সাদা-কালো ব্রিগেড। শেষ দিকে মোহনবাগানের হয়ে দারুণ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন তীর্থঙ্কর রায়। ঘটনা যাই হোক, জিতে দারুণভাবেই যে মরশুম শুরু করল মোহনবাগান, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।

মোহনবাগানঃ শিল্টন পাল, গুরজিন্দর কুমার, ফ্র্যান মোরান্তে (ফ্রান্সিসকো মুনোজ), ধনচন্দ্র সিং, আশুতোষ মেহতা, শেখ সাহিল, জোসেবা বেইতা, সুরাবুদ্দিন মল্লিক, নোংদাম্বা নওরেম, রোমারিও জেসুরাজ, সালভা চামারো

মহামেডানঃ শুভম রায়, হিরা মণ্ডল, করিম ওমোলোজা, সুজিত সাঁধু, কামরান ফারুকি, সত্যম শর্মা, মুসা মুদ্দে, তীর্থঙ্কর সরকার, শোভন সেন, আমির হোসেন (মহম্মদ আমিরুল), আর্থার কৌয়াসি

Kolkata Football Mohun Bagan
Advertisment