শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। তারপরেই পর্যালোচনা করে একসঙ্গে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমনই বার্তা এবার উঠে আসছে ইস্টবেঙ্গলের তরফে। সোমবার 'খেলা হবে' দিবসের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকদের।
সেই বক্তব্যের একটি অংশকেই নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে হাতিয়ার করছে লাল হলুদ শিবির। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, "পাঁচ বছরের জন্য যে কেউ গ্যারান্টি নেবে, এটাও তো মুখের কথা নয়। এক-একটা ৫০ কোটি টাকা করে লাগে। সুতরাং তাদের অনেক করে বলেকয়ে রাজি করানো হয়েছে।"
আরো পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল দিবসে ক্লাবে গরহাজির শ্রী সিমেন্ট প্রতিনিধি! লগ্নিকারী সংস্থার ফোকাসে শুধুই চুক্তিপত্র
মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস-বাণী পেয়েই মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয় ইস্টবেঙ্গলে। সেখানে পরিমার্জিত চুক্তিপত্রের বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে কর্তারা রাজি হলেও কিছু বিষয়ে এখনো দোটানা রয়েছে ক্লাবের। সমস্ত বিষয় আলোচনার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর সময় চেয়েছেন ক্লাব কর্তারা। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সেরে নিতে চাইছেন লাল হলুদ কর্তারা।
আরো পড়ুন: মাঠে নামার বার্তা দিয়ে বড় সিদ্ধান্ত শ্রী সিমেন্টের! কর্তার মন্তব্যে আশার আলো
কেন ইস্টবেঙ্গল এক্সিট ক্লজে পাঁচ বছরের বিষয় সংযোজন করতে চাইছে? এক ইস্টবেঙ্গল কর্তার ব্যাখ্যা, ক্লাবের ঐতিহ্য, পরম্পরা ঠিকমত রক্ষা করা হচ্ছে কিনা, সেটা দেখাও তো গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাবের পক্ষে সম্মানহানিকর যাতে কিছুই না হয়, সেই জন্যই পাঁচ বছরের পর পর্যালোচনা করার ভাবনা।
আরো পড়ুন: ১০ দিনের মধ্যেই ভবিষ্যৎ চূড়ান্ত ইস্টবেঙ্গলের, বলছেন ক্লাবের ‘ক্রাইসিস ম্যান’
যদিও লগ্নিকারী শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কোনো চুক্তিতেই সময়সীমা উল্লেখ থাকে না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আর নতুন করেও যে চুক্তিপত্রে কোনোরকম সংশোধনী করা হবে না, তা-ও কার্যত জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে লগ্নিকারী সংস্থার তরফ থেকে।
সবমিলিয়ে যে ধোঁয়াশা মঙ্গলবারই কেটে যাওয়ার কথা ছিল, তা যে মিটল, এখনই বলা যাচ্ছে না। বরং ধোঁয়াশা সেই জিইয়েই থাকল। দড়ি টানাটানি চলছেই। কবে থামবে, সেদিকেই তাকিয়ে ফুটবল মহল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন