ভুল বোঝাবুঝি বা বিতর্ক এড়াতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। ২১ জুলাই ইস্টবেঙ্গলের একাধিক ফ্যান ক্লাব সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করতে ময়দানে জড়ো হতে পারেন। এমন আবহেই ইস্টবেঙ্গলে জরুরি সভা ডেকে আলোচনা চালালেন কর্মসমিতির সদস্যরা।
সেই বৈঠকের পর যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানেই ক্লাবের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে প্রাক্তন খেলোয়াড়দের। ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ক্লাবের মূল চুক্তিপত্রে সই জটিলতায় দল নামানোই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় একাধিক প্রাক্তন ফুটবলার মুখ খুলছিলেন।
আরো পড়ুন: খুনের হুমকি পাওয়া সমর্থকের জন্য কড়া বার্তা ফাউলারের! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সমর্থকরা
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য যেমন নিজের লেখা কলামে এক দৈনিকে সাফ লিখে দিয়েছিলেন, "গত বছর থেকে এক জিনিস শুরু হয়েছে। বছরের শুরুতেই অন্য ক্লাবগুলির সমর্থকদের মতো বলতে পারছি না, হ্যাঁ, আমরা তো খেলছি। এখন আমাদের অপেক্ষা করে থাকতে হয়, কবে আসবে সেই দিন? যেদিন সরকারিভাবে জানতে পারব, হ্যাঁ, খেলব। তারপর যেনতেন প্রকারে একটা দল করে মাঠে নেমে যাব। এটা কি পাড়ার ক্লাব নাকি?"
এখানেই না থেমে লা হলুদ সমর্থকদের আদরের মনা লিখেছিলেন, "প্রায়ই শুনি ক্লাব বলছে, টার্মশিটে যা আছে চূড়ান্ত চুক্তিতে আবার তা নেই। আর ইনভেস্টররা বলছে, ক্লাব ভুল বলছে, নির্দিষ্ট করে পয়েন্ট তুলে পার্থক্য দেখিয়ে দিক। কে সত্যি, কে মিথ্যে কী করে বুঝব? যখন টার্মশিটে সই হয়েছিল, কিংবা টার্মশিট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তখন তো আমাদের মতো ঘরের ছেলেদের ডাকা হয়নি। ফলে কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যে জানার উপায় নেই।"
আরো পড়ুন: বিদেশি বাছাই প্রায় চূড়ান্ত করেও অথৈ জলে শ্রী সিমেন্ট! চরম সঙ্কটে দীর্ঘশ্বাস লাল হলুদে
মনোরঞ্জনের মতোই বিদ্রোহের সুর শোনা গিয়েছিল অন্য প্রাক্তনী গৌতম সরকারের গলাতেও। তিনি এক দৈনিকে নিজের কলামে লেখেন, "চেয়ারের মোহ নয়, সমর্থকদের কথা ভেবে ক্লাবের উচিত চুক্তিপত্রে সই করা।"
বেসুরোদের শান্ত করতেই এবার সরাসরি ক্লাবের পক্ষ থেকে বার্তা দিয়ে জানানো হল, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেন দ্রুত ক্লাবে এসে চুক্তির মূল কপি পড়ে যান!
আরো পড়ুন: আরো ভাঙল ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াড, চলে গেলেন বাঙালি তারকা! ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন ফাউলার
২৩ তারিখে আরো একবার কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে ক্লাবের তরফে। সেখানে মতামত জানানোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রাক্তন অধিনায়ক সুকুমার সমাজপতি এবং চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই বেনজির ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, ক্লাবের চুক্তি সংক্রান্ত কোনো মতামত মিডিয়ায় দেওয়ার আগে যেন প্রাক্তন খেলোয়াড়রা চুক্তির মূল বিষয় জেনে নেন।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যোগাযোগ নিয়ে জানা গেল, একাধিক প্রাক্তন তারকা মুখ খোলায় অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছিল। সেই জন্যই এমন বার্তা দেওয়া হল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
বেসুরোদের মুখ বন্ধ করতে বেনজির বার্তা! প্রাক্তনদের সতর্ক করল ইস্টবেঙ্গল
সই না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সমর্থকদের রোষের মুখে পড়েন ক্লাবকর্তারা। তারপরেই মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল জরুরি কার্যকরী কমিটির সভা ডাকে।
Follow Us
ভুল বোঝাবুঝি বা বিতর্ক এড়াতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। ২১ জুলাই ইস্টবেঙ্গলের একাধিক ফ্যান ক্লাব সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করতে ময়দানে জড়ো হতে পারেন। এমন আবহেই ইস্টবেঙ্গলে জরুরি সভা ডেকে আলোচনা চালালেন কর্মসমিতির সদস্যরা।
সেই বৈঠকের পর যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানেই ক্লাবের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে প্রাক্তন খেলোয়াড়দের। ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ক্লাবের মূল চুক্তিপত্রে সই জটিলতায় দল নামানোই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় একাধিক প্রাক্তন ফুটবলার মুখ খুলছিলেন।
আরো পড়ুন: খুনের হুমকি পাওয়া সমর্থকের জন্য কড়া বার্তা ফাউলারের! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সমর্থকরা
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য যেমন নিজের লেখা কলামে এক দৈনিকে সাফ লিখে দিয়েছিলেন, "গত বছর থেকে এক জিনিস শুরু হয়েছে। বছরের শুরুতেই অন্য ক্লাবগুলির সমর্থকদের মতো বলতে পারছি না, হ্যাঁ, আমরা তো খেলছি। এখন আমাদের অপেক্ষা করে থাকতে হয়, কবে আসবে সেই দিন? যেদিন সরকারিভাবে জানতে পারব, হ্যাঁ, খেলব। তারপর যেনতেন প্রকারে একটা দল করে মাঠে নেমে যাব। এটা কি পাড়ার ক্লাব নাকি?"
এখানেই না থেমে লা হলুদ সমর্থকদের আদরের মনা লিখেছিলেন, "প্রায়ই শুনি ক্লাব বলছে, টার্মশিটে যা আছে চূড়ান্ত চুক্তিতে আবার তা নেই। আর ইনভেস্টররা বলছে, ক্লাব ভুল বলছে, নির্দিষ্ট করে পয়েন্ট তুলে পার্থক্য দেখিয়ে দিক। কে সত্যি, কে মিথ্যে কী করে বুঝব? যখন টার্মশিটে সই হয়েছিল, কিংবা টার্মশিট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তখন তো আমাদের মতো ঘরের ছেলেদের ডাকা হয়নি। ফলে কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যে জানার উপায় নেই।"
আরো পড়ুন: বিদেশি বাছাই প্রায় চূড়ান্ত করেও অথৈ জলে শ্রী সিমেন্ট! চরম সঙ্কটে দীর্ঘশ্বাস লাল হলুদে
মনোরঞ্জনের মতোই বিদ্রোহের সুর শোনা গিয়েছিল অন্য প্রাক্তনী গৌতম সরকারের গলাতেও। তিনি এক দৈনিকে নিজের কলামে লেখেন, "চেয়ারের মোহ নয়, সমর্থকদের কথা ভেবে ক্লাবের উচিত চুক্তিপত্রে সই করা।"
বেসুরোদের শান্ত করতেই এবার সরাসরি ক্লাবের পক্ষ থেকে বার্তা দিয়ে জানানো হল, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেন দ্রুত ক্লাবে এসে চুক্তির মূল কপি পড়ে যান!
আরো পড়ুন: আরো ভাঙল ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াড, চলে গেলেন বাঙালি তারকা! ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন ফাউলার
২৩ তারিখে আরো একবার কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে ক্লাবের তরফে। সেখানে মতামত জানানোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রাক্তন অধিনায়ক সুকুমার সমাজপতি এবং চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই বেনজির ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, ক্লাবের চুক্তি সংক্রান্ত কোনো মতামত মিডিয়ায় দেওয়ার আগে যেন প্রাক্তন খেলোয়াড়রা চুক্তির মূল বিষয় জেনে নেন।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যোগাযোগ নিয়ে জানা গেল, একাধিক প্রাক্তন তারকা মুখ খোলায় অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছিল। সেই জন্যই এমন বার্তা দেওয়া হল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন