East Bengal FC: হাতে আর বেশি সময় বাকি নেই। আগামী ২৩ জুলাই থেকে ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2025) খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল এফসি। আর এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই শহর কলকাতায় পা রাখলেন ইস্টবেঙ্গল এফসি-র 'প্রাণভ্রমরা' দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস (Dimitrios Diamantakos)। ২০২৪-২৫ মরশুমে লাল-হলুদ সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি দিয়ামান্তাকোস। এবার কি তিনি লাল-হলুদ ব্রিগেডের ত্রাতা হয়ে উঠতে পারবেন? সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতেই শহর কলকাতায় পা রেখেন ইস্টবেঙ্গলের এই গ্রিক ফরোয়ার্ড। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দরে সমর্থকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল। গত মরশুমে দিয়ামান্তাকোসের পারফরম্য়ান্স নিয়ে একাধিক সমালোচনার ঝড় উঠলেও, এদিন রাতে লাল-হলুদ সমর্থকদের ভালবাসায় কোনও খামতি ছিল না।
Mohammad Rashid East Bengal: মাঝরাতে শহরে এলেন রশিদ, বিমানবন্দরে উচ্ছ্বাসের ঢল লাল-হলুদ সমর্থকদের
দিমি-র নামে জয়ধ্বনি লাল-হলুদ সমর্থকদের
দিয়ামান্তাকোসকে দেখামাত্র লাল-হলুদ সমর্থকরা জয়ধ্বনি শুরু করেন। তাঁর পরনে ছিল কালো রংয়ের একটি ভেস্ট। বিমানবন্দরের বাইরে পা রাখতে না রাখতেই তাঁর হাতে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। হাতে ছিল একটা সবুজ রংয়ের ট্রলি ব্যাগ। এরপর সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। সামনে লাল-হলুদ পতাকা বিছিয়ে তোলা হয় একাধিক ছবিও। অন্যদিকে, দিয়ামান্তাকোসের মুখেও ছিল একগাল হাসি। ইস্টবেঙ্গল ফ্যানেদের আশা, এই মরশুমে দিয়ামান্তাকোস ভাল পারফরম্য়ান্স করতে পারবেন।
Mohun Bagan vs East Bengal News: ডুরান্ডে আদৌ হবে কলকাতা ডার্বি? মোহন-ইস্টের লড়াই নিয়ে বিস্তর ধোঁয়াশা
লাল-হলুদের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পারবেন দিমি?
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, গ্রিসের এই তারকা ফরোয়ার্ড কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে ২০২৩-২৪ মরশুমে অভাবনীয় পারফরম্য়ান্স করেছিলেন। জিতেছিলেন সোনার বুটও। এরপর ইস্টবেঙ্গল যখন তাঁকে সই করায়, সেইসময় অনেকেই আশা করেছিলেন যে লাল-হলুদের ভাগ্যের চাকা তিনি ঘোরাতে পারবেন। উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আসরে ইস্টবেঙ্গল নাম লেখানোর পর থেকে এখনও পর্যন্ত একবার খেতাব জয় করেনি। খেতাব জয় তো দুরের কথা, সুপার সিক্সের যোগ্যতাও তারা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু, দিয়ামান্তাকোসের থেকে যে পারফরম্য়ান্স ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা প্রত্যাশা করেছিলেন, সেটা তিনি করতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করেছিলেন যে এবার হয়ত এই গ্রিক ফরোয়ার্ডকে ছেড়ে দিতে পারে লাল-হলুদ ম্য়ানেজমেন্ট। কিন্তু সূত্রের খবর, মাঝপথে চুক্তি ভাঙলে ইস্টবেঙ্গলকে অনেকটা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হত। সেকারণে আরও এক মরশুম দিমিকে মশালবাহিনীতেই রেখে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২০২৫-২৬ মরশুমে দিমি কেমন পারফরম্য়ান্স করেন, সেদিকেই সকলের নজর থাকবে।