East Bengal New Footballer: ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের 'গোলমেশিন', দলের চরম দুরবস্থায় কেন ডাকা হচ্ছে না? প্রশ্ন সমর্থকদের

East Bengal FC: বিগত কয়েক মরশুম ধরে ইস্টবেঙ্গল এফসি-র অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। বিশেষ করে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নাম লেখানোর পর থেকে তারা একেবারেই নজর কাড়তে পারেনি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে কলিঙ্গ সুপার কাপ জয়ের পর থেকে সাফল্য আর নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে লাল-হলুদ সমর্থকরা যারপরনাই হতাশ হয়ে পড়েছেন। 

ইস্টবেঙ্গলে বিদেশি ফুটবলারদের সমাহার

অথচ ২০২০ সালের আগে পর্যন্ত মশালবাহিনীর এতটাও খারাপ অবস্থা ছিল না। বিশেষ করে আই-লিগে অন্যতম শক্তিশালী দল ছিল ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক তারকা বিদেশি ফুটবলার এই ক্লাবের হয়ে খেলে গিয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে পেন ওরজি, টোলগে ওজবে কিংবা উগা ওপারা। তবে এই তালিকায় যে নামটা ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে, তিনি হলেন ডো ডং হিউন। 

East Bengal FC News: ইস্টবেঙ্গলে এবার ISL চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার, আহ্লাদে আটখানা লাল-হলুদ সমর্থকরা

ডো ডং (Do Dong-hyun)। এই নামটা আজও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হৃদয়ে অমলিন হয়ে রয়েছে। ২০১৫ সালের ২৭ জুন ইস্টবেঙ্গল শিবিরে এক নয়া তারকার রাজত্ব শুরু হয়। সেইসময় ইস্টবেঙ্গলের কোচ ছিলেন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। মাত্র একটা মরশুমই লাল-হলুদ জার্সিতে খেলেছিলেন এই কোরিয়ান ফুটবলার। কিন্তু, তাঁর পারফরম্য়ান্স আজও মনে রেখেছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা।

East Bengal FC News: লাল-হলুদ ফ্যানদের জন্য বড় খবর! ISL জয়ী তারকা ইস্টবেঙ্গলে আসতেই বিরাট পদক্ষেপ

২০১৫ সালে কলকাতা ফুটবল লিগের হাত ধরে ডো ডং ইস্টবেঙ্গলের হয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। ১০ ম্যাচে তাঁর পা থেকে বেরিয়ে এসেছিল ১২ গোল। এমনকী, ইস্টবেঙ্গলকে খেতাব জেতানোর পিছনেও তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। আপনাদের অনেকেরই হয়ত মনে আছে, কলকাতা ডার্বিতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয়লাভ করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এই ম্য়াচে ডো ডং ফ্রি-কিক থেকে দুটো অসামান্য গোল করেছিলেন।

East Bengal FC Transfer Update: মোহনবাগানের 'ঘরের ছেলে'কে অফার ইস্টবেঙ্গলের! বিস্ফোরক অভিযোগ ফুটবল তারকার

২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি আই-লিগে অভিষেক হয় ডো ডংয়ের। ডেবিউ ম্য়াচে স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়ার বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল ৩-১ গোলে জয়লাভ করেছিল। এই ম্য়াচের একটি গোলে দুর্দান্ত অ্য়াসিস্ট করেছিলেন ডং। ২০১৫-১৬ আই-লিগ মরশুমে ফিরতি লেগের কলকাতা ডার্বিতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। প্রথম গোলটি এসেছিল স্পট-কিক থেকে। শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ডার্বি ম্য়াচে দ্বিতীয় গোলটি ডং মেরিনার্সদের ২ ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে জালবন্দি করেছিলেন। তবে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর ডো ডংকে ছেড়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। শোনা যায়, তৎকালীন হেড কোচ ট্রেভর জেমস মরগ্যানের সঙ্গে সদ্ভাব না থাকার কারণেই ইস্টবেঙ্গল তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল।

East Bengal FC New Footballer: ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য বাম্পার খবর! ময়দান কাঁপাতে আসছেন লাল-হলুদের 'গোলমেশিন'

আজ কোথায় ইস্টবেঙ্গলের এই প্রাক্তন প্রাণভ্রমরা? কোন ক্লাবের হয়েই বা খেলছেন তিনি? সপ্তাহ দুয়েক আগে ডং তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেখান থেকেই জানতে পারা গিয়েছে যে বর্তমানে তিনি জিয়ংনাম এফসি ক্লাবের হয়ে খেলছেন। মাঝখানে তিনি গুরুতর চোটের কবলে পড়েছিলেন। সেকারণে বেশকিছু সময় তিনি ফুটবলের বাইরেই ছিলেন। তবে আবারও ডং ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে ফিরে এসেছেন। এমনকী গত ৩১ মে তিনি কে লিগে চিয়ংজুর বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন। ৯০+২ মিনিটে দেখেন হলুদ কার্ডও। যদিও এই ম্য়াচে ডো ডংয়ের দল ২-১ গোলে জয়লাভ করেছে।

View this post on Instagram

A post shared by 도동현 Dong-Hyun Do🇰🇷 (@dongh07)

ডো ডংয়ের এই ইনস্টাগ্রাম পোস্টটি ইতিমধ্য়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর সেই পোস্টে কমেন্ট করতে শুরু করেছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। অধিকাংশ ইস্টবেঙ্গল ফ্যানই তাঁকে কলকাতার এই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন। অনেকে তো আবার ক্লাব কর্তাদের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তুলেছেন যে দলের এই দুঃসময়ে কেন তাঁরা ডংকে খেলার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছেন না! যদিও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এই ব্যাপারে কোনও চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন কি না, সেই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।