East Bengal FC: কলকাতা ফুটবল লিগে (CFL 2025-26) ইস্টবেঙ্গল এফসি'র বিজয়রথ অপরাজেয় গতিতে এগোচ্ছিল। কলকাতা ডার্বি ম্য়াচে মোহনবাগানকে তারা ৩-২ গোলে হারিয়েছিল। এমনকী, গত ম্য়াচেও তারা বেহালা এসএস দলকে পরিয়েছিল হাফডজন গোলের মালা। সুতরাং, গোটা লাল-হলুদ ব্রিগেড একেবারে চরম আত্মবিশ্বাসে ফুটছিল। রবিবার (৩ অগাস্ট) আত্মবিশ্বাসে ভর করেই পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল বিনো জর্জের দল। কিন্তু, পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। ২-০ গোলে হেরে পরাজয় স্বীকার করল ইস্টবেঙ্গল এফসি। দলের এই পারফরম্য়ান্স দেখার মশালবাহিনী রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছে। কারণ, এই ম্য়াচটা জিততে পারলে চলতি কলকাতা ফুটবল লিগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ থাকত ইস্টবেঙ্গলের সামনে। তবে সেটা আপাতত অধরাই রয়ে গেল।
East Bengal FC Record: স্বাধীনতার আগেই গড়েছিল 'সোনার ইতিহাস', কোন রেকর্ড কায়েম করেছিল ইস্টবেঙ্গল?
১১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করল পুলিশবাহিনী
এই ম্যাচের শুরু থেকে পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। লাল-হলুদ ডিফেন্সে তারা একের পর এক আক্রমণ শানাতে শুরু করে। এই বছর কলকাতা ফুটবল লিগে পুলিশের পারফরম্য়ান্সও একেবারে নজরকাড়া। ইতিপূর্বে, তারা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে উড়িয়েছিল বিজয়কেতন। আর এবার দুরমুশ করল ইস্টবেঙ্গলকে। যাইহোক, পুলিশের আক্রমণ সামলাতে না পেরে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা ভুলভাল ট্যাকল করতে শুরু করে। আর সেকারণে ১১ মিনিটের মাথায় রেফারির একটি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে যায়। সেই সুবর্ণ সুযোগই কাজে লাগালেন পুলিশের তারকা ফুটবলার মহম্মদ আমিল নঈম। দলকে ১-০ গোলে লিড এনে দিলেন তিনি। প্রথমার্ধে, আর একটাও গোল আসেনি। যদিও দুটো দলই একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করল।
Sanjay Sen East Bengal: 'সুদে-আসলে মিটিয়ে দেব...', ইস্টবেঙ্গলে সম্মান পেয়ে আবেগে ভাসলেন সঞ্জয়
পুলিশের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মৃণ্ময় মহাপাত্র
এই পরিস্থিতিতে শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। অনেকেই আশা করেছিলেন, ম্যাচের পরবর্তী ৪৫ মিনিটে লাল-হলুদ ব্রিগেড হয়ত জ্বলে উঠতে পারবে। কিন্তু, তেমন ইচ্ছে এবং মনোভাব কোনওটাই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের মধ্যে দেখতে পাওয়া গেল না। বরং ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষ শিবিরে ফয়জল আলি, সুরজিৎ শীলরা যে পারফরম্য়ান্স উপহার দিলেন, তা সকলের নজর কেড়ে নিল। যাইহোক, দ্বিতীয়ার্ধেও ম্য়াচ নিজের ছন্দেই এগোচ্ছিল। ইতিমধ্যে, ৭৫ মিনিটে আবার গোল! ইস্টবেঙ্গলের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিলেন মৃণ্ময় মহাপাত্র। খেলা যত শেষের দিকে এগোতে শুরু করে, ততই দূর্ভেদ্য হয়ে ওঠে পুলিশের রক্ষণ। মশালবাহিনী বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করলেও, আদতে সেগুলো কোনও কাজে লাগেনি। অবশেষে পরাজয়ের ব্যর্থতা বুকে নিয়েই ব্যারাকপুর স্টেডিয়াম ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল।