/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/01/east-bengal-fc-2-2025-08-01-15-09-54.jpg)
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ১০৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হচ্ছে
East Bengal FC: বাঙালির কাছে ফুটবল আবেগ মানেই ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। ঘটি এবং বাঙালের চিরন্তন লড়াই। কলকাতা ডার্বি যে বাঙালি ফুটবল সমর্থকদের কাছে ঐতিহ্যের লড়াই, সেটা আর আলদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই। ১৮৮৯ সালে মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের জন্ম হলেও, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠা আরও বেশ কয়েকবছর পরে হয়। ১৯২০ সালের ১ অগাস্ট জোড়াবাগান ক্লাব ভেঙে জন্ম হয় এই ক্লাবের। তবে স্বাধীনতার আগেই এই ক্লাব লিখেছিল এক সোনার ইতিহাস। কী সেই ইতিহাস? আসুন, বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
East Bengal FC: একেবারে 'বাঘের বাচ্চা', ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক কে করেছিলেন জানেন?
সালটা ছিল ১৯৪৫। ভারতবর্ষের আকাশে-বাতাসে তখন স্বাধীনতার গন্ধ ভাসতে শুরু করেছে। অন্যদিকে অপরাজেয় গতিতে এগিয়ে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। বছর দুয়েক আগেই তারা প্রথমবার আইএফএ শিল্ড জয় করেছে। ফাইনাল ম্য়াচে পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবকে ৩-০ গোলে তারা পরাস্ত করেছিল। দলের প্রথম ফুটবলার হিসেবে শততম গোলের নজির কায়েম করেছিলেন সোমানা। ওই বছর ১৩ অগাস্ট আইএফএ শিল্ডে বেঙ্গল অ্যান্ড আসাম রেলওয়ে ফুটবল দলের বিরুদ্ধে তিনি এই রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন। সবমিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল যে একেবারে অশ্বমেধ ঘোড়ার মতো দৌড়চ্ছিল, তা বলাই বাহুল্য।
East Bengal FC: ডার্বির পরেও দুরন্ত ইস্টবেঙ্গল, বেহালাকে হাফ ডজন গোলে উড়িয়ে দিল লাল-হলুদ
যাইহোক, গৌরচন্দ্রিকা অনেক হল। এবার আসল কথায় আসা যাক। ফিরে আসুন সেই ১৯৪৫ সালে। ইস্টবেঙ্গল তখন একেবারে নতুন উদ্দীপনায় ফুটছে। এই বছরই একসঙ্গে জোড়া খেতাব জয় করেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। প্রথম কলকাতা ফুটবল লিগের খেতাব জয় করার পর তারা আইএফএ শিল্ড জয় করেছিল। উল্লেখ্য, আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। জয়সূচক গোলটি করেছিলেন ফ্রেড পাগসলে।
East Bengal FC Transfer Update: আদৌ ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেন তারকা ফুটবলার? সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
ফ্রেড পাগসলের নাম শুনেছেন আপনারা?
আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে হয়ত ফ্রেড পাগসলের নাম অজানা হতে পারে। ইনি ছিলেন বার্মার (মায়ানমার) ফুটবলার। মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবে চিমা ওকেরি যেমন প্রথম বিদেশি ফুটবলার ছিলেন, পাগসলেও তেমন প্রথম বিদেশি ফুটবলার ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে এই জয় লাল-হলুদ ব্রিগেডকে একটা আলাদা অক্সিজেন দিয়েছিল। আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই বছরই রোভার্স কাপে বিসিআইএস রেলওয়ের বিরুদ্ধে ১১-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এই ম্য়াচে পাগসলে একাই আটটি গোল করেছিলেন।
শুক্রবার (১ অগাস্ট) গোটা দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবস। এই উপলক্ষ্যে বিকেলবেলা ক্লাব প্রাঙ্গনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। বিগত কয়েক বছরে এই দলটা হয়ত সেভাবে কোনও সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। দলের পারফরম্য়ান্স নিয়েও উঠেছে সমালোচনার ঝড়। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল দলের এই ইতিহাস যে বাংলার ফুটবলকে আদতে কতটা সমৃদ্ধ করেছে, সামান্য কয়েকটা অক্ষরে বোঝানো সম্ভব হবে না।