East Bengal FC: শুক্রবার (১ অগাস্ট) ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবে ১০৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হল। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বেশ পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের প্রাক্তন কোচ সঞ্জয় সেনের (Sanjay Sen) হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পি কে ব্যানার্জী মেমোরিয়াল পুরস্কার। আর এই সম্মান পেয়ে আবেগের বাঁধ ভাঙল সঞ্জয়ের।
পুরস্কার গ্রহণ করার পর সঞ্জয় সেন বললেন, 'এই পুরস্কার পেয়ে যে আমি কতটা আনন্দ পেয়েছি, সেটা বলে বোঝাতে পারব না। এটুকু বলতে পারি, এই ক্লাবে আমার এক ফোঁটাও অবদান নেই। কিন্তু, সেই ক্লাবটা আজ আমাকে যে সম্মান দিল, এটার যোগ্য কি না আমি জানি না। এটা একমাত্র ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষেই সম্ভব। সারা ভারতবর্ষে আপনি যতগুলো ক্লাব দেখবেন, তাদের মধ্যে এই সম্মান একমাত্র ইস্টবেঙ্গলই দিতে পারে।'
East Bengal FC Record: স্বাধীনতার আগেই গড়েছিল 'সোনার ইতিহাস', কোন রেকর্ড কায়েম করেছিল ইস্টবেঙ্গল?
প্রসঙ্গত, ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের এই অনুষ্ঠানে দেবাশিস কুমার একটি লাল-হলুদ উত্তরীয় সঞ্জয় সেনকে পরিয়ে দেন। মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য তুলে দেন একটি পুষ্পস্তবক। এর পাশাপাশি সঞ্জয় সেনের হাতে একটি স্মারক এবং মিষ্টির হাঁড়ি তুলে দেওয়া হয়েছে।
East Bengal FC: একেবারে 'বাঘের বাচ্চা', ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক কে করেছিলেন জানেন?
'এই ভালবাসা সুদে-আসলে পুষিয়ে দেব...'
সঞ্জয় সেনের কথায়, 'হতে পারে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এখন একটা কঠিন সময় যাচ্ছে। তবে এটা একেবারে সাময়িক। আগামীদিনে ইস্টবেঙ্গল আরও অনেক ভাল ফলাফল করতে পারবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, ভবিষ্যতে যদি কখনও কোনও সুযোগ আসে, তাহলে আমি অবশ্যই সুদে-আসলে পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।' সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি নিজের বক্তব্য শেষ করেন।
East Bengal Transfer News: ঘুম উড়ে যাবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের, ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেন মরোক্কান 'গোলমেশিন'
কিন্তু, মঞ্চ ছাড়ার আগে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক গৌতম ভট্টাচার্য তাঁকে প্রশ্ন করেন, 'আপনি তো নিজে পি কে ব্যানার্জির ছাত্র ছিলেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে গুরুর নামাঙ্কিত পুরস্কার গ্রহণ করতে কেমন লাগছে?' জবাবে সঞ্জয় সেন বললেন, '১৯৯৭ সালে আমি প্রদীপদা'র হাত ধরেই রেলওয়ে এফসি-র কোচ হয়েছিলাম। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে টানা ২০০৬ পর্যন্ত আমি রেলওয়ে এফসি-র কোচ ছিলাম। আমার মধ্যে প্রদীপ দা নিশ্চয়ই কোনও গুণ দেখতে পেয়েছিলেন, যে কারণে এই দায়িত্বটা দিয়েছিলেন। এই জায়গা থেকে এই সম্মানটা আমাকে আগামীদিনে আরও অনুপ্রাণিত করবে। প্রদীপ দা আজ থাকলে খুব ভাল লাগত। কিন্তু, ওঁর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা আজীবন বজায় থাকবে।'