চুক্তিপত্র মেনে ক্লাব যদি দ্রুত সই করে দেয়, তাহলে দল গঠনও দ্রুত গতিতে এগোবে। না হলে আলোচনা চলার ফাঁকে দল গঠনও ক্রমশ পিছিয়ে যাবে। এমন সংশয়ের বাতাবরণই ফের হাজির লাল-হলুদ তাঁবুতে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শনিবার বিকেলের মধ্যেই ক্লাবে চুক্তির খসড়া পাঠিয়ে দেওয়া হবে বিনিয়োগকারী ইমামির তরফে।
সেই চুক্তির প্রাথমিক খসড়া হাতে পাওয়ার পরই ক্লাব বুঝতে পারবে, ইমামির তরফে কত শতাংশ শেয়ার দাবি করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে দু-বার ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের বৈঠক হয়েছে ইনভেস্টরের সঙ্গে। এরপরে ইমামির আইনি দল চুক্তিপত্রের খসড়া তৈরির নামে। ক্লাবে সেই ড্রাফট আসার পরে ইস্টবেঙ্গলের আইনি দল আবার পূর্ণাঙ্গ চুক্তি পর্যালোচনা করে দেখবে।
আরও পড়ুন: খালিদ জামিলের ইস্টবেঙ্গলের সুপার স্ট্রাইকার! ঝড় তুলতে ফের আসছেন কলকাতায়
ঘটনা হল, চুক্তিপত্রে সই করার প্রক্রিয়া যে দীর্ঘমেয়াদি হতে চলেছে, তা এখনই স্পষ্ট। কিন্তু এর মধ্যেই সমর্থকদের ব্যাকুলতা দল গঠন নিয়ে। কয়েক সপ্তাহ পরেই ডুরান্ড কাপ। তারপরে কলকাতা লিগ। অন্য দলগুলো যেখানে স্কোয়াড তৈরি করে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে, সেখানে এবারও চুক্তি জটিলতায় স্তব্ধ দল গঠন প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, এগ্রিমেন্টে সই না হলে, সরকারিভাবে দল গঠনের কাজে হাত দেবে না ইমামি।
এগ্রিমেন্টে সই করার সঙ্গেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, দল গঠনের বিষয়টি কাদের হাতে থাকবে। আপাতত ইমামির সঙ্গে দল গঠনের জন্য অল্প বিস্তর উদ্যোগ নেওয়া হলেও, চুক্তিপত্রে সই না হওয়া পর্যন্ত তা নিয়ে বেশি এগোতে চায় না লাল হলুদের নয়া এই ইনভেস্টর সংস্থা। ক্লাবের তরফে ইতিমধ্যেই ইনভেস্টরের হাতে কয়েকজন প্লেয়ারের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইস্ট-মোহনকে টেক্কা! বোতাফোগোয় খেলা টপ স্কোরার ব্রাজিলিয়ানকে নিয়ে আসছে মহামেডান
সবমিলিয়ে, দল গঠন নিয়ে শেষ বেলায় ফের একবার চিন্তা বাড়তে চলেছে ইস্টবেঙ্গলের, তা বলাই বাহুল্য।
এদিকে, ইস্টবেঙ্গলের যে এগারো ফুটবলারের বকেয়া ছিল, তা মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে আগের ইনভেস্টর সংস্থা শ্রী সিমেন্ট। জানা গিয়েছে, এগারো জনের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি চার জনের বকেয়া বেতন নিয়েও আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে শ্রী সিমেন্টের তরফে।