East Bengal Transfer Update: ইস্টবেঙ্গলকে আর আটকায় কে! লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য জোড়া খুশির খবর

East Bengal FC Transfer Update: নতুন ফুটবল মরশুম শুরু হতে আর বেশিদিন বাকি নেই। এর মধ্যেই দলবদলের বাজারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে ISL খেলা ক্লাবগুলির মধ্যে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ছে না। এই অবস্থায় বড়সড় চমক দিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ শিবির একসঙ্গে দুই ভারতীয় ফুটবলারের জন্য ঝাঁপিয়েছে। এই দুই তরুণ ফুটবলারকে বলা হচ্ছে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ। সামনের মরশুমের জন্য শক্তিশালী দল গড়তে এমন দুজন দেশীয় ফুটবলার অনেক কাজে দেবে বলে মনে করছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট।

দুই ভারতীয় ফুটবলারের মধ্যে একজন খেলেন আই লিগের ক্লাবে। আরেক জন আইএসএলের ক্লাবে। দুজনকেই এক বছরের চুক্তিতে নেওয়ার কথা ভাবছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম জন হলেন শিলং লাজংয়ের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্গকি বুয়াম। ২৪ বছরের এই ফুটবলার মেঘালয়ের। খেলতে পারেন লেফট এবং রাইট উইঙ্গার হিসাবে। ২০২৩ সালে রিয়াল কাশ্মীর থেকে শিলং লাজংয়ে যোগ দিয়েছিলেন বুয়াম। 

আরও পড়ুন রাজার মতো ফিরবে ইস্টবেঙ্গল, লাল-হলুদকে ISL জেতাতে আসছেন এশিয়া কাঁপানো তারকা

২০২৪-২৫ মরশুমে আই লিগে ২৩টি ম্যাচ খেলে করেছেন ৬টি গোল। রয়েছে ২টি গোল অ্যাসিস্ট। পুরো ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেস রয়েছে। বয়স অল্প, তাঁর উইং ধরে দৌড় বিপক্ষের ডিফেন্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দিতে পারে। এই মুহূর্তে তাঁর মার্কেট ভ্যালু ১.২ কোটি টাকা। গত মাসেই তাঁর সঙ্গে লাজংয়ের চুক্তি শেষ হয়েছে। এখন দেখার তাঁর আলোচনা কতটা এগোতে পারে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।

অন্যদিকে, চেন্নাইয়িন এফসি-র উইঙ্গার ভিন্সি ব্যারেটোর সঙ্গেও কথা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। ২৫ বছরের এই ফুটবলার লেফট এবং রাইট দুই উইংয়েই খেলতে পারেন। ২০২১ সালে গোকুলাম কেরালার হয়ে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন গোয়ার ফুটবলার ভিন্সি। ২০২৪-২৫ আইএসএল মরশুমে চেন্নাইয়িনের হয়ে ১৬টি ম্যাচ খেলেছেন ভিন্সি। গোল করেছেন ১টি। বেশিরভাগ ম্যাচেই পরিবর্ত হয়ে নেমেছেন। খুব একটা ভাল মরশুম যায়নি তাঁর। গত মাসে তাঁর চুক্তির মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে চেন্নাইয়িনের সঙ্গে। এই মুহূর্তে তাঁর মার্কেট ভ্যালু ৬০ লক্ষ টাকা। 

আরও পড়ুন রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে খেলা তারকাকে আনছে ইস্টবেঙ্গল! বাঁধভাঙা আনন্দ লাল-হলুদ জনতার

দুজনের মধ্যে একজনকেও যদি সই করাতে পারে ইস্টবেঙ্গল, তাহলে তাদের মাঝমাঠ অনেকটা শক্তিশালী হবে। এই মরশুমে মাঝমাঠেই সবচেয়ে বেশি ভুগেছে লাল-হলুদ শিবির। মাদিহ তালাল এবং সাউল ক্রেসপো চোট পাওয়ার পর সেভাবে ফরোয়ার্ড লাইনে বল বাড়ানোর মতো প্লে-মেকার ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। নন্দকুমারের সেই আগের মতো ধার নেই। মহেশ কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। রিচার্ড সেলিসকে নিয়ে খুব উৎসাহ ছিল লাল-হলুদ সমর্থকদের। কিন্তু তিনি একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন। সেক্ষেত্রে দেশীয় উইঙ্গার নেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।

আরও পড়ুন মেহতাব কি সত্যিই হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের? সামনে এল সত্যিটা