আর মাত্র তিন মাস! তারপরেই শতবর্ষের ঢাকে কাঠি পড়ে যাচ্ছে লাল-হলুদ তাঁবুতে। আসন্ন মরশুমে দলগঠনের জন্য যেমন সতর্ক থাকতে হচ্ছে, তার পাশাপাশি শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য রয়েছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য কর্তাদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। কিছুদিন আগেই কার্যকরী কমিটির বৈঠক ছিল ইস্টবেঙ্গলে। সেখানে প্রাক্তন অধিনায়কদের সংবর্ধনা থেকে প্রাক্তন দুই ফুটবলারকে জীবনকৃতী সম্মাননা- সমস্ত ধরণের বিষয়ই আলোচনা করা হয়েছে।
তবে এর মধ্যেই খবর, শতবর্ষের মধ্যেই মিউজিয়াম তৈরি করা হচ্ছে ক্লাব প্রাঙ্গনে। বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন কিংবা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মতো ঐতিহ্যশালী ক্লাবগুলিতে মিউজিয়াম দ্রষ্টব্য এক বিষয়। ফুটবল ট্যুরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকে মিউজিয়াম-দর্শন। সেই চিন্তা-ভাবনাই এবার লাল-হলুদ তাঁবুতে। সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির নিচে কোনও এক অংশে মিউজিয়াম গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে ক্লাব কর্তাদের।
কী থাকতে চলেছে এই মিউজিয়ামে? সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গলের সমস্ত গৌরবোজ্জ্বল কীর্তির নির্দশন যথাসম্ভব জায়গা পেতে চলেছে এই স্পোর্টস মিউজিয়ামে। প্রথম ১৯৪৩ সালে প্রথম শিল্ড, ১৯৫১-র ডুরান্ড থেকে ২০০৩-এর আশিয়ান জয়- সমস্ত ট্রফি, ফুটবলারদের সই করা জার্সি, বিভিন্ন স্মারক জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি ১৯২০ সাল থেকে ইস্টবেঙ্গলের জার্সির ডিজাইনের বিবর্তন ধরে রাখার ভাবনাও রয়েছে। বলা হচ্ছে, যেকোনও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক এই মিউজিয়াম ঘুরে দেখতে পারেন কোনও এন্ট্রি ফি ছাড়াই।
আরও পড়ুন
বিদেশের বহু ফুটবল ক্লাবের স্মারক বিভিন্ন সামাজিক কারণে নিলামে তোলা হয়। সেরকম কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকলেও বিষয়টি ভাবনা-চিন্তার স্তরে রয়েছে। পরবর্তীকালে সেরকম নিলাম-পর্ব দেখাও যেতে পারে পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী। পুরো পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শতবর্ষের আগেই সেরে ফেলতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। তারপরেই বিখ্যাত কোনও ক্রীড়াবিদকে এনে মিউজিয়ামের উন্মোচন করা হতে পারে।
এসব পরিকল্পনা থাকলেও অন্য বিষয়েও অবশ্য খেয়াল রাখতে হচ্ছে। কারণ পুরো বিষয়টিই সেনাবাহিনীর অনুমতির উপরে নির্ভর করছে। সেনাবাহিনীর পূর্ণ অনুমতি পাওয়া গেলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা ক্লাবেই অন্য স্বাদ পেতে চলেছেন!