দিল্লি ডায়নামোস থেকে পাড়ি জমিয়েছেন কলকাতায়। লাল-হলুদ জার্সিতেই এবার খেলবেন মার্তি ক্রেসপি। গত মরশুমে জনি অ্যাকোস্টার পজিশনেই তাঁকে সই করিয়েছে কোয়েস কর্তৃপক্ষ। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্রেসপি-র সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলেই এবার দেখা যাবে তাঁর বন্ধুকেও। চলতি মাসেই ইস্টবেঙ্গল সই করিয়ে ফেলছে ক্রেসপি-র বাল্যবন্ধু মার্কোস জিমেনেজ দা লা এস্পাদা মার্তিন ওরফে মার্কোসকে।
ক্লাব সূত্রে খবর এমনটাই। মায়োরকাতেই বড় হয়ে ওঠা দুই স্প্যানিশ তারকার। মায়োরকার তুদেলানো অঞ্চলের মার্কোসের উত্থান লা সাল্লে এবং সান ফ্রান্সিসকো-র অ্যাকাডেমিতে। অন্যদিকে, ক্রেসপি আবার মায়োরকা-র অ্যাকাডেমির গ্র্যাজুয়েট। দুই তারকার অবশ্য বন্ধুত্বের সম্পর্কে উত্তীর্ণ হন মায়োরকা-বি দলে খেলতে গিয়েই। ক্রেসপি বি দলে ২০০৬-০৭ মরশুম কাটিয়েছিলেন। তারপরেই যোগ দেন মায়োরকার সিনিয়র দলে। অন্যদিকে, মার্কোস ২০০৫-২০০৭ দু-বছর কাটানোর পরে সরাসরি যোগ দেন সান্ত অ্যান্ড্রুতে।
আরও পড়ুন হাবাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইস্টবেঙ্গল কোচের! শতবর্ষের আবহেই চমক ময়দানে
কাঁধে ইঞ্জেকশন নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে ‘ঐতিহাসিক উপহার’! শতবর্ষে ক্লাবই ভুলল সেই নায়ককে
তারকা বিদেশিকে নিয়ে কর্তা-কোচের মন কষাকষি, চরম ডামাডোল ইস্টবেঙ্গলে
তিন বছর আগে পর্যন্ত মার্কোস খেলেছেন বিভিন্ন ডিভিশনের একাধিক স্প্যানিশ ক্লাবে। পরে পাড়ি দেন হংকংয়ে। সেখানে কিটচি এবং সাদার্নে খেলেছেন। তারপরেই এই বছরে পড়ছেন লাল-হলুদ জার্সি। বিভিন্ন ক্লাবে খেলে দশক গড়ালেও ক্রেসপো এবং মার্কোসের বন্ধুত্ব অবশ্য এখনও অটুট।
কী করে লাল-হলুদে মার্কোস? ইস্টবেঙ্গলে প্রাক মরশুম অনুশীলনে যোগ দিতে আসার আগে আলেয়ান্দ্রো স্পেনে নিজের বাড়িতে স্রেফ ছুটি-ই কাটাচ্ছিলেন না। স্পেন ঘুরে ঘুরে ম্যাচে ফুটবলারদের স্পট করার জন্য হাজির হতেন। মায়োরকাতে গিয়েই আলেয়ান্দ্রো পছন্দ করেন মার্কোসকে। তারপরেই জানান কোয়েস কর্তৃপক্ষকে। জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্বাধীনতা দিবসের দিনেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে নতুন চুক্তি সাক্ষর করবেন ৩২ বছরের তারকা স্ট্রাইকার।
গত মরশুমে স্পেনের থার্ড ডিভিশনের ক্লাব অ্যাটলেটিকো বালেরাসের হয়ে খেলেছিলেন। ১৫টা গোলও বেরিয়েছিল তাঁর পা থেকে। তবে সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। তারপরেই তিনি ফ্রি- এজেন্ট হয়ে গিয়েছিলেন। ফ্রি এজেন্ট হিসেবেই ইস্টবেঙ্গলে আসছেন তিনি।
ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচেই ফিনিশারের অভাবে ভুগেছে ইস্টবেঙ্গল। একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেও পজিটিভ স্ট্রাইকারের অভাবে গোল আসছিল না। শেষ পর্যন্ত ৮৫ মিনিট পর্যন্ত গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। মার্কোস আসায় নিশ্চিতভাবেই আলেয়ান্দ্রোর দুঃশ্চিন্তা যে দূর হবে, তাতে সন্দেহ নেই।