তাল কেটে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। মরশুম এখনও শুরুই হয়নি। তার আগেই সুর-ছন্দ-তাল বিগড়ে গিয়েছে লাল-হলুদ তাঁবুতে। পড়শি মোহনবাগান যেখানে কোচ, সহকারি কোচ, ফুটবলার বাছাইয়ে দারুণ তৎপরতার পরিচয় দিচ্ছে। সেখানে কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি-র অবস্থা তথৈবচ। ফুটবলার বাছাই থেকে কোচের গোঁসা- সব সামলাতে গিয়ে রীতিমতো ত্রাহি ত্রাহি দশা কর্তাদের। এমনিতে ইস্টবেঙ্গলের মারিও রিভেরা সহকারি কোচের পদের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আরও বিড়ম্বনা বাড়িয়ে এবার প্রধান কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনডেজের তোপের মুখেও কর্তারা।
নেপথ্যে হাইমে স্যান্টোস কোলাডো। ইস্টবেঙ্গলের গত মরশুমের ছয় বিদেশির মধ্যে মাত্র দু-জনকে রেখে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। বোরহা ফার্নান্ডেজ নতুন মরশুমে ক্যাপ্টেন হচ্ছেন। তবে সূত্রের খবর, হাইমে রেখে দেওয়ার বিষয়ে আলেয়ান্দ্রো সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিলেন। তবে অদ্ভূতভাবে স্পেনে ফিরে যাওয়ার পরে কর্তারা আর যোগাযোগ করেননি হাইমে-র সঙ্গে।
আরও পড়ুন
গত বছর হাইমে মরশুমের মাঝপথে এসে নজর কেড়েছিলেন। তরুণ তুর্কি আলেয়ান্দ্রোর ফর্মেশনে হিট করে গিয়েছিলেন। স্কিল হোক বা পাস- স্প্যানিশ মিডিও-র পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ছিলেন প্রত্যেকেই। সেই হাইমে-কেই এই মরশুমেও রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে ফুটবলারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইমে-র সঙ্গে যোগাযোগ করা একপ্রকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সই-ও হয়নি এখনও। তাহলে কী কোচ চাইলেও কর্তারা এই মরশুমে কোলাডো-কে রাখতে উৎসাহী নন, নাকি অন্য স্প্যানিশ ফুটবলার আনা হবে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
পাশাপাশি, দেশে ফিরে যাওয়ার আগে আলেয়ান্দ্রো ফুটবলারদের তালিকা তুলে দিয়েছিলেন কর্তাদের হাতে। সেই ফুটবলারদের অনেককেই এখনও চূড়ান্ত করতে পারেননি কর্তারা। একের পর এক ফুটবলার ক্লাব ছাড়তে চলেছেন। কিংবা অনেক 'মার্কড' ফুটবলারকেই প্রতিপক্ষ ক্লাবগুলি চুক্তি করে ফেলেছে। এতেই ফুটবলার বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা কর্তাদের উপরে চরম বিরক্ত আলেয়ান্দ্রো মেনেনডেজ।
সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার বাছাইয়ের গতিতে এতটাই অসন্তুষ্ট কোচ, যে ঘনিষ্ট মহলে তিনি জানিয়েছেন, সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে, ক্লাব ছেড়ে দিতে পারেন তিনি। সবমিলিয়ে লাল-হলুদ সংসারে যে ডামাডোল তুঙ্গে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।